একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানি বাহিনী ও তাদের সহযোগীদের হাতে নির্যাতিত আরো ৬১ জন বীরাঙ্গনাকে মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি দিয়েছে সরকার। তাদের মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি দিয়ে গত সোমবার গেজেট জারি করে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়। জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের (জামুকা) ৭০তম সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বীরাঙ্গনারা এ স্বীকৃতি পেলেন। এ নিয়ে মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি পাওয়া বীরাঙ্গনার সংখ্যা দাঁড়াল ৪০০ জনে।
সর্বশেষ যে ৬১ জন নারী বীর মুক্তিযেদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি পেলেন তারা হলেন- নাটোর সদর উপজেলার বড়গাছা পালপাড়ার মৃত রবীন্দ্রনাথ পালের স্ত্রী আশালতা পাল, এই জেলার সদর উপজেলার পশ্চিম মাধনগর গ্রামের মৃত আব্দুল সোবহানের স্ত্রী মোছা. মানিকজান, একই গ্রামের আনিছুর রহমানের স্ত্রী মোছা. ঘালিমা বেগম, ভট্টপাড়া গ্রামের মৃত ইব্রাহিম মন্ডলের স্ত্রী মোছা. ইয়ারজান, পশ্চিম মাধনগর গ্রামের মো. জয়েন উদ্দিনের স্ত্রী মোছা. সমর্থনভান,ভট্টপাড়া গ্রামের মৃত আব্দুর রহিমের স্ত্রী মোছা. রেখা বেগম, কানাইখালী গ্রামের মৃত আব্দুল মজিদের স্ত্রী মোছা. হাজেরা বেগম, কাঠুয়াগাড়ী গ্রামের মৃত ইসমাইলের স্ত্রী মোছা. হালিমা বেগম, একই জেলার নলডাঙ্গা উপজেলার হাজরা গ্রামের মো. ঘারুন অর রশিদও স্ত্রী মোছা. ফরিদা বেগম,দিঘাপাতিায় গ্রামের মৃত সুলতান খাঁর মেয়ে মোছা. লাইলী বেগম এবং নাটোর সদরের উলুপুর গ্রামের মো. জোনাব আলীর স্ত্রী মোছা. ফাতেমা বেগম।
অন্যরা হলেন-কিশোরগঞ্জের নিকলী উপজেলার নিকলী খালিশা হাটি গ্রামের আব্দুল মনাফ-এর স্ত্রী মোছা. সিজু বেগম, মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া উপজেলার মানগাঁও গ্রামের আব্দুল মনাফ-এর স্ত্রী বেগম আছকিরুন নেছা, পিরোজপুর জেলার পশারীবুনিয়া গ্রামের আশুতোষ চক্রবর্তীর স্ত্রী রেনুকা চক্রবর্তী, ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা উপজেলার পাইকা শিমুল গ্রামের মৃত মোছাব্বের আলীর স্ত্রী মৃত মোছা. রেনু বেগম, ব্রাক্ষ¥ণবাড়িয়ার চান্দি গ্রামের মৃত আব্দুর রহমানের স্ত্রী সাহেরা বেগম, বগুড়ার বারপুর স্কুলপাড়ার মৃত মো. শাহাদত আলীর স্ত্রী মোছা. জরিনা বিবি, ঠাকুরগাঁওয়ের রানীশংকৈল উপজেলার কালিপুর (ঝাবরটালা) গ্রামের মৃত সফিজ উদ্দিনের স্ত্রী মোছা. রোপন বেওয়া, একই উপজেলার কাশিপুর (চিকনমাটি) গ্রামের মৃত নিয়াসু মোহাম্মদের স্ত্রী মোছা. মোজেফা খাতুন। পটুয়াখালী জেলা সদরের টাউন কালিকাপুর গ্রামের মৃত আব্দুল হাকিম আলী সিকদারের স্ত্রী হাজেরা বেগম, একই জেলার গিলাবুনিয়া গ্রামের আজহার মোল্লার স্ত্রী ফুল বরু ওরফে ফুল বানু, ইটবাড়িয়া গ্রামের মো. মোসলেম আলীর স্ত্রী মনোয়ারা বেগম, বোতলবুনিয়া গ্রামের আব্দুল হক পাহলানের স্ত্রী সালেহা বেগম, গেড়াখালী গ্রামের মো. আনছার আলীর স্ত্রী আনোয়ারা বেগম, ইটবুনিয়া গ্রামের আয়নালী হাওলাদারের স্ত্রী ছৈতুন নেছা, একই গ্রামের মৃত জয়নুদ্দিনের স্ত্রী রিজিয়া বেগম,মো. এছাহাক প্যাদার স্ত্রী মৃত হাচেন ভানু, লেদাই মেম্বরের স্ত্রী মৃত হাচন ভানু,মৃত কাঞ্চন প্যাদার স্ত্রী মৃত জয়ফুল,মৃত ধলু হাওলাদারের স্ত্রী মৃত ছকিনা খাতুন, আব্দুল আলী ফকিরের স্ত্রী মৃত ফুল ভানু, শিয়ালি গ্রামের মৃত আজজ প্যাদার স্ত্রী মোছা. মনোয়ারা বেগম, দুর্গাপুর গ্রামের মেনাজ তালুকারের স্ত্রী জমিলা বেগম এবং গোরস্থান রোডের আব্দুল আজিজের স্ত্রী মৃত জোবেদা ।
সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার নকিপুর গ্রামের মৃত প্রভাষ রঞ্জন রায়ের স্ত্রী তুলসী চন্দনা রায়, খাগড়াছড়িরর গুইমারা উপজেলার বড়পিলাক গ্রামের মো. আবু বকরের স্ত্রী রাহেলা বেগম, মাদারীপুর সদরের পাখিরা রাজারচর গ্রামের মৃত আরব আলী খার স্ত্রী আয়েশা বেগম, বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার তালুকের জরদুয়ানী গ্রামের মৃত নয়া মিয়া আকন-এর মেয়ে মোছা. সালেহা খাতুন, একই উপজেলার রুপদোন গ্রামের অনন্ত কুমার মিস্ত্রীর স্ত্রী তরুন বালা। ফরিদপুরের কোতয়ালী থানার শোভারামপুর গ্রামের মৃত সুভাষ চন্দ্র সাহার মায়া রানী সাহা, বরিশাল সদরের পুরানপাড়ার কামিন উদ্দিন চৌকদারের মেয়ে মোছা. হাজেরা বেগম,কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার হোসেনাবাদ গ্রামের মৃত আবু বক্কও ছিদ্দীকের স্ত্রী মোছা. সুফিয়া বেগম, একই গ্রামের মৃত সামছুল হকের স্ত্রী মোছা. হোসনেয়ারা বেগম।
সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার বুধিগাও গ্রামের কয়র আলীর মেয়ে হামিরুন নেছা, ব্রাক্ষ্মনগ্রামের আব্দুল কাদিরের মেয়ে জয়নব বিবি, লেঙ্গুড়া গ্রামের ফুরকান আলীর মেয়ে জয়তুন বেগম, বাউরভাগ গ্রামের মৃত মন্তাজ আলীর মেয়ে হাজেরা বেগম, তিকিুল্লি গ্রামের আব্দুস ছোবহানের মেয়ে খুদজা, রবি খার মেয়ে রুকেয়া, আলমনগর (মুড়া বস্তি) গ্রামের আক্রম আলীর মেয়ে মমতা, গুরুকচি গ্রামের আব্বাছ আলীর মেয়ে আলিপজান,বুধিগাও-এর রবি খানের মেয়ে রহিমা বেগম,নেওয়াজ আলীর মেয়ে নবিরুন বেগম, পুকাশ গ্রামের বসন্ত চ›ন্দ-এর মেয়ে সিমন্তী রাণী চন্দ, আলমনগর (মুড়া বস্তি)-এরহজরত আলীর মেয়ে জোৎস্না বেগম, বুধিগাও হাওরের রবি খানের মেয়ে আসমা বেগম। পাবনার চাটমোহর উপজেলার মির্জাপুর গ্রামের মৃত ফজল প্রাং-এর স্ত্রী মোছা. জামেনা খাতুন, গোপালগঞ্জের ওড়োপাড়া (মোল্লাপাড়া)-গ্রামের মৃত ইসহাক মোল্লার মেয়ে আমেনা বেগম, পানাইল করপাড়া গ্রামের কানন বিশ্বাসের স্ত্রী সুমি বিশ্বাস এবং খুলনার পাইকগাছা উপজেলার কালিনগর গ্রামের অধর জোয়ার্দ্দার-এর মেয়ে গুরুদাসী মন্ডল।
আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার বীরাঙ্গনাদের মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। তারা প্রতি মাসে ভাতাসহ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের মতো অন্যান্য সব সরকারি বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা ভোগ করবেন।