কক্সবাজার সংবাদদাতা
কক্সবাজারে দেশের দীর্ঘতম রানওয়ে সমৃদ্ধ বিমানবন্দর হচ্ছে। ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের রানওয়ে ১০ হাজার ৫০০ ফুট। কক্সবাজারের এই বিমানবন্দরের রানওয়ে হবে ১০ হাজার ৭০০ ফুট।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিশ্রুতির সফল বাস্তবায়ন এ প্রকল্পের মধ্য দিয়ে দেশের ৪র্থ আন্তর্জাতিক বিমান এই বিমানবন্দর যাত্রা শুরু করবে।
দেশে প্রথমবারের মতো কক্সবাজারে সমুদ্র বক্ষে নির্মাণ হচ্ছে রানওয়ে। যার খরচ হিসেব করা হয়েছে ১৫ শ ৬৯ কোটি টাকা। আর বিমানবন্দর রানওয়ে’র এ প্রকল্প পর্যটন ও অর্থনৈতিক বিকাশে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনবে।
বিমানবন্দরটির সবচেয়ে দৃষ্টিনন্দন হচ্ছে এর রানওয়ে। অত্যাধুনিক বিমানবন্দরের কাতারে নাম লেখাতে যাওয়া কক্সবাজার বিমানবন্দরের রানওয়ে তৈরি হচ্ছে সমুদ্র-ছুঁয়ে। সমুদ্রের নোনা জলের ঠিক ওপরেই উড়োজাহাজটি অবতরণের প্রস্তুতি নেবে। রানওয়ে স্পর্শ করার তিন সেকেন্ড আগে সেটি বিমানবন্দরে প্রবেশ করবে। পৃথিবীর উপকূলীয় শহরে অবস্থিত দৃষ্টিনন্দন বিমানবন্দরগুলোর মধ্যে অন্যতম হবে এই বিমানবন্দর।
এ প্রকল্পের স্বপ্নদ্রষ্টা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২৯ আগস্ট ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ৯ হাজার ফুট থেকে ১০ হাজার ৭শ ফুটে রানওয়ে বর্ধিতকরণ কাজের উদ্বোধন করার কথা রয়েছে।
শুক্রবার (২৭ আগস্ট) বিকেলে কক্সবাজার বিমানবন্দরে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি দেখতে এসে বেসরকারি বিমান চলাচল কর্পোরেশনের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল এম মুফিদুর রহমান চেয়ারম্যান বলেন, ‘প্রথমে ৯ হাজার ফুট থেকে আরও তিন হাজার ফুট সমুদ্র কুলে সম্প্রসারণের কথা ছিল। কিন্তু অনেক গবেষণা ও কক্সবাজারের পরিবেশের কথা চিন্তা করে ১ হাজার ৭০০ ফুটে উন্নীত করার সিদ্ধান্ত হয়।’