নিজস্ব প্রতিবেদক
জাতিসংঘের সাবেক মানবাধিকার বিশেষজ্ঞ, ইউএনডিপির আইন বিশেষজ্ঞ, বাংলাদেশ সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইস্টিটিউট এবং আইন অনুষদের ছাত্র, চরফ্যাসনের কৃতি সন্তান, চরফ্যাশনের দানবীর, পেশাদার সমাজকর্মী দেশের মানবতাবাদী নক্ষত্র রোটারিয়ান, আহম মাইনুদ্দিন আহমেদ জাহাঙ্গীর আর নেই।
মঙ্গলবার (১২ এপ্রিল) রাত ৮ টায় তিনি ঢাকার উত্তরায় নিজ বাসভবনে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে ইন্তিকাল করেছেন। ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। তার বয়স হয়েছিল ৭১ বছর। তিনি ১৯৫২ সালের ৩০ নভেম্বর জন্ম গ্রহণ করেন।
বুধবার বাদফজর উত্তরায় তার নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে এবং বিকেলে রাজধানীর বনানী কবরস্থানে (বাবা-মায়ের পাশে) তাকে দাফন করা হবে।
তিনি তার বর্ণাঢ্য জীবনে চরফ্যাশন ফাতেমা মতিন মহিলা মহাবিদ্যালয়, চরফ্যাশন এতিমখানা, ফাতেমা মতিন হাফিজিয়া কাওমী মাদ্রাসা, চরফ্যাশন সাব-রেজিস্ট্রি অফিসসহ অনেক সরকারী-বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের দাতা ছিলেন। বহু প্রতিষ্ঠানের জমি ও অর্থদাতা, সহায়তাকারী ও পরিচালক আহম মাইনুদ্দিন আহমেদ জাহাঙ্গীর এর মৃত্যুতে চরফ্যাশনের গরীর-দুখী মানুষ যেন একজন বটবৃক্ষকে হারালো। তার মৃত্যুতে তার হাজার হাজার সুহৃদ, ভক্ত, সহকর্মী ও সজন গভীর শোক প্রকাশ এবং তার শোক সন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন।
তিনি ছিলেন জাতি সংঘের প্রাক্তন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার বিশেষজ্ঞ। জাতি সংঘের প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের (নাগরিক অধিকার সম্পর্কিত সাংবিধানিক আইন, পুনর্মিলন, বিরোধ নিষ্পত্তির পাশাপাশি পাপুয়া নিউ গিনির পুনর্বিবেচনা করা সংবিধান, বোগেনভিলের স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল এবং নিউজিল্যান্ডের আন্তর্জাতিক শান্তি চুক্তি) আইনজ্ঞ। বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টে ১৩ বছরেরও বেশি সময় ধরে তিনি আইন পেশা নিয়ে কাজ করেছেন। এছাড়াও ২০০৫-২০০৭ সাল পর্যন্ত তিনি ছিলেন সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীন ইউএনডিপি বাংলাদেশ (শিশু আইন বিশেষজ্ঞ / ইউএনসিআরসি) এর আইন বিশেষজ্ঞ।
এছাড়া তিনি ২০ বছরেরও বেশি সময় ধরে বিভিন্ন সামাজিক উন্নয়ন এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিশেষজ্ঞ হিসাবে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সাহায্য সংস্থার কান্ট্রি প্রোগ্রামের প্রধান হিসাবে কাজ করেছেন।