চরফ্যাশনে নিহত মনিরের ঘটনায় পুলিশকে দায়ি করছেন স্থানীয়রা

0
1

নিজস্ব প্রতিবেদক
চরফ্যাশনের হাজারিগঞ্জ ইউনিয়নে ২১ জুন নির্বাচনী সহিংসতায় নিরীহ ব্যক্তির মৃত্যুর জন্য স্থানীয়রা পুলিশকেই দায়ী করছেন। তাদের মতে পুলিশ জনগণের জান মাল রক্ষায় ব্যর্থ হয়েছে।

এছাড়া একজন প্রার্থীর পক্ষে নগ্নভাবে কাজ করেছে পুলিশ। তাই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে। অনেকে সরাসরি পুলিশের গুলিতেই ওই ব্যক্তি মারা গেছেন বলে দাবী করছেন। তবে বরিশাল রেঞ্জের ডিআইজি এই ঘটনার জন্য দু:খ প্রকাশ করে বলেছেন, দোষী যেই হোক তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

নির্বাচনী সহিংসতায় নিহত মনির হোসেনের চরফ্যাশন উপজেলার চর ফকিরা পাঁচ কপাট এলাকার বাড়ীতে চলছে শোকের মাতম। ৫ সদস্যের পরিবারের একমাত্র উপার্জনাক্ষম ব্যক্তিকে হারিয়ে দিশেহারা স্বজনরা।

তাদের দাবি মনির পেশায় একজন জেলে। তিনি কোন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জড়িত নন। নেহায়েত সংঘর্ষের কথা শুনে মাকে উদ্ধার করতে ভোটকেন্দ্রে গিয়েছিলেন।

মাকে বাঁচাতে গিয়ে ছেলের এমন নির্মম মৃত্যুতে হতবাক এলাকাবাসীও। তাদের অভিযোগ পুলিশ একজন প্রার্থীর পক্ষ নেয়ায় এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এক পর্যায়ে পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ায় পুলিশ তাদের এবং জনগণের জানমাল রক্ষায় গুলি করে। এতে প্রাণ যায় মনিরের।

আপর দিকে অন্য কোন পক্ষের গুলিতেও মনির মারা যেতে পারে বলে মনে করেন কেউ কেউ। খুনি সে যেই হোক তদন্ত করে তাদের বিচার করার দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করছেন এলাকাবাসী।

স্থানীয় জসিম, নূর উদ্দিন, মনজুসহ স্থানীয় আরো বেশ কয়েক জনের সাথে কথা বললে তারা জানান, ভোটের দিন সকালে ইউছুফ ও ইয়াছিন দুই মেম্বার প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে পুরুষ কেন্দ্রে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়।

এরপর চর ফকিরা কো-এইড প্রাথমিক বিদ্যালয় মহিলা কেন্দ্রে মেম্বার প্রার্থী ইয়াছিনের সমর্থকরা ভোট কেন্দ্র দখলের করতে গেলে পুলিশ বাধ্য হয়ে জীবন ও কেন্দ্রের ভোট সুরক্ষির রাখতে গিয়ে গুলি ছুড়েন। গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান মনির।

তারা জানান, আলাউদ্দিন নামের আরো একজন গুলিবিদ্ধ বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজে জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষনে রয়েছে। যদিও পুলিশ ও প্রিজাইডিং অফিসার বলছেন পুলিশ ফাঁকা গুলি ছুড়েছেন। তাদের গুলিতে কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here