টানা বর্ষণ ও ঢলের পানিতে ফুলে উঠছে নদী, তলিয়ে যাচ্ছে নিম্নাঞ্চল

0
5

ন্যাশনাল ডেস্ক
টানা বর্ষণে পানি বেড়ে ফুলে উঠেছে কয়েকটি নদী। ময়মনসিংহের ধোবাউড়ায় বিভিন্ন স্থানে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে অনেক মানুষ। সুনামগঞ্জের ছাতকের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। তাহিরপুরের সঙ্গে সুনামগঞ্জের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। গাইবান্ধায় ভারী বর্ষণের সময় ঘণ্টাব্যাপী বজ্রপাতের ঘটনা ঘটেছে। শেরপুরের ঝিনাইগাতিতে সাতটি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।

নেত্রকোনা: নেত্রকোনায় গত মঙ্গলবার রাত থেকে অবিরাম বর্ষণে জেলার সব নদীর পানি ব্যাপক হারে বাড়ছে। জেলার কংস, সোমেশ্বরী, নিতাই, ধনু, গোলামখালি এবং সাইডুলি নদীর পানি বেড়ে ফুলে উঠছে। বৃষ্টি না থামলে এ সমস্ত নদীর পানি বিপত্সীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।

ধোবাউড়া (ময়মনসিংহ) : গত দুই দিনের টানা বর্ষণে ময়মনসিংহের ধোবাউড়ায় বিভিন্ন স্থানে জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। পাহাড়ি ঢলে নেতাই নদীর বাঁধ ভেঙে প্রবল স্রোতে পানি প্রবেশ করছে; প্লাবিত হচ্ছে নিম্নাঞ্চল। মুষলধার বৃষ্টিতে আতঙ্কে রয়েছেন নেতাই পাড়ের ও নিম্ন এলাকার সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ। ইতিমধ্যে নিম্ন এলাকার অনেক পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।

ছাতক (সুনামগঞ্জ) : টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে ছাতকের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। নদনদীতে পানি বাড়ছে দ্রুত গতিতে। উপজেলার নিম্নাঞ্চল ইসলামপুর, নোয়ারাই, ভাতগাঁও, সিংচাপইড়, উত্তর খুরমা, দক্ষিণ খুরমা, জাউয়াবাজার ও চরমহল্লা ইউনিয়নের বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। রাস্তাঘাট, ঘরবাড়ি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বন্যার পানি ছুঁই ছুঁই করছে।

তাহিরপুর (সুনামগঞ্জ) : টানা বৃষ্টিতে উপজেলার সীমান্তবর্তী যাদুকাটা নদীর পানি বিপত্সীমার ১৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে সুনামগঞ্জ থেকে তাহিরপুরের সড়ক পথে যান চলাচল বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। সদর উপজেলাগামী মানুষ কোনো রকমে নৌকায় করে পার হলেও সুনামগঞ্জের সঙ্গে তাহিরপুর উপজেলা সদরের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।

গাইবান্ধা: গাইবান্ধায় গত মঙ্গলবার সকাল থেকে একটানা বৃষ্টিপাত হচ্ছে। গতকাল বিকাল পর্যন্ত বর্ষণ অব্যাহত ছিল। ভারী বর্ষণের সময় একটানা ঘণ্টাব্যাপী বজ্রপাতের ঘটনা ঘটে। যদিও বজ্রপাতের কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। জেলা শহরের কাচারী বাজার, প্রেসক্লাব চত্বর, স্টেশন রোডের সান্দারপট্টি, গোরস্থান রোড, পুরাতন হাসপাতাল রোডসহ বিভিন্ন এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়েছে।

ঝিনাইগাতী (শেরপুর) : টানা বৃষ্টিতে উপজেলার সাতটি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। সোমেশ্বরী, মহারশী ও কালঘোষা নদীর পানি বিপত্সীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে ৩০টি গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ। পানিতে তলিয়ে গেছে কৃষকের বীজতলা, ভেসে গেছে অর্ধশতাধিক পুকুরের মাছ।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here