নিজস্ব প্রতিবেদক
ভোলার তজুমদ্দিনে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে স্বামীর সংসার থেকে নিয়ে এসে পরবর্তীতে বিয়ে না করায় এক সন্তানের জননী সিমা আক্তার (২১) আত্মহত্যা করেছেন। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ভোলা মর্গে প্রেরণ করেছেন। এঘটনায় সিমার বাবা বাদী হয়ে অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করেছেন। সোমবার (৩১ মে) উপজেলার শম্ভুপুর ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ শম্ভুপুর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
সিমার বাবা আ: মন্নান জানান, তিন বছর আগে তার মেয়ে সিমা আক্তার (২১) এর বিয়ে হয় একই এলাকার প্রবাসী লোকমান হোসেনের সাথে। তাদের ঘরে দুই বছরের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। ৫নং ওয়ার্ডের জামাল পাটওয়ারীর ছেলে তুহিন গত জানুয়ারী মাসে আমার মেয়েকে প্রলোভন দিয়ে প্রবাসী স্বামীর সংসার থেকে নিয়ে আসে। এসব বিষয় নিয়ে জামাল পাটওয়ারী ও আমাদের মাঝে কয়েক দফা গন্ডগোল ও বিচার শালিস হয়। এসব ঘটনায় তখন আমরা থানায় অভিযোগ দিলে পূর্বের স্বামীকে তালাক দিয়ে তুহিনের সাথে আমার মেয়ের ৫ লক্ষ টাকা কাবিনে বিয়ের সিদ্ধান্ত হয়। তখন কাবিন হলেও বিয়ে হয়নি।
নিহত সিমা আক্তারের মা তাহমিনা বেগম জানান, কাবিনের পর থেকে তারা তালবাহানা শুরু করে আমার মেয়েকে বিয়ে না করার জন্য। আমরা কয়েকদিন পূর্বে আমরা পূনরায় থানায় অভিযোগ দেই। গত শনিবার ফরিদ চেয়ারম্যান বাড়িতে শালিস বাসিয়ে ১ লক্ষ টাকা দিয়ে আমাদেরকে বিদায় করতে চাইলে আমরা রাজি হইনি। রবিবার দিবাগত রাতে তুহিন আমাদের বাড়িতে এসে আমার মেয়ে সিমার সাথে তর্কে জড়িয়ে পড়েন। পরে একপর্যায়ে রাতে তাকে নিয়ে যেতে চাইলে সিমা সকালে যাবে বলে তাকে বিদায় করেন। সোমবার সকাল ৬ টার দিকে সিমা একই গ্রামের তুহিনদের বাড়িতে গেলে তুহিন ও তার মা, ভাই বোন মিলে আমার মেয়েকে মারপিট করে গলায় ধাক্কা দিতে দিতে আমাদের বাড়ির সামনে রেখে যায়। সকাল প্রায় ৭টার দিকে এসব অপমান সইতে না পেয়ে ঘরে এসে দরজা বন্ধ করে সামনের বারান্দার রুপার সাথে আমার শাড়ী পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দেয়।