ইদ্রিস মাদ্রাজী
ভোটের বাকি আর মাত্র নয় মাস। ভোট এলেই আলোচনায় আসে জোট। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষেও এরই মধ্যে শুরু হয়েছে জোট সংক্রান্ত তোড়জোড়। আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতৃত্বেই বরাবর প্রধান দুটি জোট লড়াই করে। এবার ক্ষমতাসীন জোটে আসার আগ্রহ দেখিয়েছে অনেকে। আবার ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগও সমমনাদের নিয়ে নির্বাচনী জোট করতে আন্তরিকভাবে চেষ্টা করছে। এটা মোটামুটি স্পষ্ট যে বড় হচ্ছে আওয়ামী জোটের পরিধি।
২০২৪ সালের প্রথমে ভোট ধরেই এগোচ্ছে সব কর্মকাণ্ড। এরই মধ্যে ভোটের সব ধরনের প্রস্তুতি শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন। সব আসনে ব্যালটে ভোট করার সিদ্ধান্ত নিয়ে এগোচ্ছে তারা।
জানা যায়, বিএনপি নির্বাচনে এলে সমমনাদের নিয়ে একটি রাজনৈতিক জোট করে ভোট করার চিন্তা আওয়ামী লীগের। এরই মধ্যে এ নিয়ে চলমান কার্যক্রমে বেশ অগ্রগতি চোখে পড়েছে। আওয়ামী লীগ তাদের আদর্শিক জোট ১৪ দলের বাইরের দলগুলোর সঙ্গে সখ্য বাড়াচ্ছে। দলটির সভাপতি শেখ হাসিনা নিজে অনেকের সঙ্গে আলোচনা করছেন। আবার ১৪ দলীয় জোটের সমন্বয়ক আমির হোসেন আমুর সঙ্গেও অনেকের বৈঠক হচ্ছে। সরকারের মুখপাত্র ও তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদও বেশ কয়েকটি ইসলামিক দলের অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে এমন মনোভাব ব্যক্ত করেছেন।
তিন মাস আগে (২০২২ সালের ২৩ ডিসেম্বর) প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার সঙ্গে সপরিবারে সাক্ষাৎ করেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী। ওই সাক্ষাতের পর থেকে সরকারের কট্টর সমালোচক কাদের সিদ্দিকীর বক্তব্য ও কার্যক্রমে ইতিবাচক মনোভাব ফুটে উঠেছে। অনেকের ধারণা, আগামী নির্বাচনে আওয়ামী জোটে কাদের সিদ্দিকীর দলও থাকবে।
এদিকে, বাংলাদেশ ইসলামিক ফ্রন্ট নামে একটি দল ১৪ দলীয় জোটে আসার আগ্রহ দেখিয়েছে। সম্প্রতি, জোট সমন্বয়ক আমির হোসেন আমুর সঙ্গে তারা সাক্ষাৎও করেছে। আওয়ামী ঘরানার লোকদের নেতৃত্বাধীন ইসলামিক ফ্রন্ট ভোটের সময় আওয়ামী জোটে থাকবে এমনটাই আভাস পাওয়া যাচ্ছে।
এছাড়াও সম্প্রতি (রমজানে বা তার আগেও) সরকারের মুখপাত্র তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ ইসলামী ঐক্যজোটসহ বেশ কয়েকটি দলের অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছেন এবং আগামী নির্বাচনে সব দলের অংশগ্রহণে ভোটের মাধ্যমে সরকার নির্বাচিত করার বিষয়ে কথা বলেছেন। তাতে মনে হয়েছে, ওই দলগুলোর আগ্রহের সঙ্গে সরকারেরও সমর্থন আছে।