আন্তর্জাতিক ডেস্ক
শত্রুদের লক্ষ্য করে আবারও কঠোর হুশিয়ারি দিলেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। তিনি বলেছেন, বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী দেশ ও সমৃদ্ধ সমাজ হিসেবে গড়ে উঠেছে চীন। যারা চীনের পেছনে লাগার চেষ্টা করবে, তাদের মাথা ভেঙে দেয়া হবে। ক্ষমতাসীন চীনা কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিসি) শতবর্ষ উদযাপনের অংশ হিসাবে বৃহস্পতিবার রাজধানী বেইজিংয়ের তিয়েন আনমেন স্কয়ারে এক বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানে তিনি এই হুশিয়ারি দেন। সিনহুয়া।
১৯২১ সালের ১ জুলাই প্রতিষ্ঠিত হয় চীনা কমিউনিস্ট পার্টি (সিসিপি)। প্রথমে কৃষক ও শ্রমিকদের নিয়ে গঠিত হলেও পরে চীনের ক্ষমতাসীন এ দলটি ‘চীনা ধরনের সমাজতন্ত্র’ স্লোগানের আলোকে বাজার অর্থনীতি ও এর উদ্যোক্তা সংস্কৃতিকে বরণ করে নেয়। কিন্তু সোভিয়েত ইউনিয়নের প্রতিষ্ঠাতা ভ্লাদিমির ইলিচ লেনিনের প্রবর্তিত পার্টির কর্তৃত্ববাদী শাসনের মডেল ধরে রাখে।
বৃহস্পতিবার এর শতবর্ষ পূর্তি উপলক্ষ্যে ব্যাপক পরিসরে নানা কর্মসূচির আয়োজন করে দেশটির সরকার। রাজধানী বেইজিংয়ের প্রাণকেন্দ্র তিয়েন আনমেন স্কয়ারে জড়ো হন ৭০ হাজার মানুষ। সকাল শুরু হয় অনুষ্ঠানের কর্মসূচি দিয়ে। মাঝ আকাশে হেলিকপ্টার এবং প্লেন থেকে রঙবেরঙের আলপনা আঁকা হয়। বিমান থেকে স্যালুট জানানো হয় সাধারণ মানুষকে। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীকে কেন্দ্র করে চীনের জনগণ দিনটিকে যে যার মতো বরণ করে নেন। অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট শিল্পীরা চীনের দেশাত্মবোধক সংগীত পরিবেশন করেন। সব মিলিয়ে এক উৎসবমুখর পরিবেশের সৃষ্টি হয়। কিছুক্ষণের মধ্যেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত হাজার হাজার মানুষের সামনে বক্তব্য রাখেন প্রেসিডেন্ট জিনপিং।
এ সময় দেশের নিরাপত্তা এবং বিদেশি অপশক্তি নিয়ে কথা বলেন তিনি। শুরুতেই দেশবাসীর উদ্দেশে শি বলেন, ‘কোনো অপশক্তি চীন এবং দেশের জনগণকে ছোট করে কথা বলতে পারে না। যারা চীনা কমিউনিস্ট পার্টি থেকে বিভক্ত হতে চাইবে তারা ব্যর্থ হবে।’ প্রায় দেড় ঘণ্টার বক্তব্যে তাইওয়ান প্রসঙ্গেও স্পষ্ট অভিমত জানান জিনপিং। হংকং ও ম্যাকাওয়ের স্বায়ত্তশাসনের ওপরও জোর দেন। বলেন, ‘তাইওয়ান অবশ্যই চীনের অংশ। মূল চীন থেকে যদি কেউ আলাদা করতে চায়, তাদের চরম পরিণতি ভোগ করতে হবে।’ মূলত যুক্তরাষ্ট্রকে ইঙ্গিত করেই এ সতর্কবার্তা দেন তিনি।