নিজস্ব প্রতিবেদক
রাজধানীর গুলশানে কলেজছাত্রীর লাশ উদ্ধারের ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলার আসামি বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সায়েম সোবহান আনভীরের বিদেশযাত্রার ওপর নিষেধাজ্ঞা চেয়ে মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে আজ মঙ্গলবার আবেদন করেছে পুলিশ। আদালত পুলিশের আবেদন মঞ্জুর করেছেন।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপকমিশনার (প্রসিকিউশন) জাফর হোসেন বলেন, সায়েম সোবহানের দেশত্যাগে পুলিশের করা আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত।
পুলিশ জানায়, কারও দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা আরোপের জন্য আদালতের অনুমতির প্রয়োজন। যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে অনুমতি চাওয়া হয়েছে। পাশাপাশি অভিবাসন কর্তৃপক্ষকেও সায়েম সোবহান যাতে দেশ ছাড়তে না পারেন, সে বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করা হয়েছে।
এর আগের খবরে বলা হয়, গুলশান এলাকায় একজন তরুণীর মৃত্যুর ঘটনায় বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়ী গোষ্ঠী বসুন্ধরার ব্যবস্থাপনা পরিচালকের বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেয়ার একটি অভিযোগ নথিভূক্ত করা হয়েছে।
মৃত তরুণীর বোন গুলশান থানায় মঙ্গলবার ভোরে আত্মহত্যায় প্ররোচনার একটি মামলা দায়ের করেছেন, যেখানে সায়েম সোবহান আনভীরকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। জনাব,আনভীর বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। তবে এ নিয়ে বক্তব্যের জন্য জনাব আনভীর এবং বসুন্ধরা গ্রুপের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তাদের তরফ থেকে কোন মন্তব্য পাওয়া যায়নি। এ ঘটনা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা চলছে।
নিহত তরুণী একজন কলেজ ছাত্রী ছিল বলে পুলিশ জানিয়েছে। ঢাকার অভিজাত এলাকা গুলশানের একটি অ্যাপার্টমেন্ট ভাড়া নিয়ে তিনি একাই থাকছিলেন। পুলিশ জানিয়েছে, সোমবার সন্ধ্যায় ওই তরুণীর বোন কুমিল্লা থেকে ঢাকায় এসে গুলশানের বাসাটিতে ঢুকে বোনের মৃতদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেন। রাতেই পুলিশ ওই বাসায় গিয়ে দেখতে পায় যে মৃতদেহ সিলিং ফ্যানের সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় রয়েছে।
প্রাথমিকভাবে পুলিশ এটিকে আত্মহত্যা বলে ধারণা করছে। তবে মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। রাতে মেয়েটির বড়বোন গুলশান থানায় যে মামলা দায়ের করেন, তাতে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে।
পুলিশ কর্মকর্তা হাসান বলছেন, মামলার এজাহারে অভিযোগ করা হয়েছে যে ওই তরুণীর সাথে জনাব আনভীরের দুই বছর যাবৎ সম্পর্ক ছিল। বিষয়টি নিয়ে বসুন্ধরা গ্রুপের প্রেস অ্যান্ড মিডিয়া উপদেষ্টা আবু তৈয়বের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হয়, কিন্তু তিনি ফোন ধরেননি।