হাসনা হেনা
বিদ্যুৎ বিভাগের স্বেচ্ছ্বাচারিতা ও খামখেয়ালিতে চরম দূর্ভোগে পড়েছেন চরফ্যাশনবাসী। ভোলার গ্যাসে বিদ্যুৎ উৎপন্ন হয়ে জাতীয় গ্রীডে মাখন অংশ চলে গেলেও ভোলাবাসী তথা চরফ্যাশনবাসী ঘোলের গ্লাসে হাবুডুবু খাচ্ছেন।
চরফ্যাশনবাসী, নিয়মিত বিদ্যুৎ পচ্ছেন না। বিদ্যুতের অভাবে প্রতিদিন কোটি কোটি টাকা গচ্ছা দিচ্ছেন এ এলাকার বাসিন্দা ও ব্যবসায়িরা। ভোগান্তিতে পড়ে বদনাম ছড়াচ্ছেন পর্যটকরা।
চরফ্যাশন তথা ভোলাবাসীর দাবি, জাতীয় গ্রীডের সাথে সংযুক্ত করে ভোলা তথা চরফ্যাশনবাসীকে চব্বিশ ঘণ্টা নিরবিচ্ছন্ন বিদ্যুৎ দিতে হবে। অন্যথায় নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুতের দাবিতে চরফ্যাশনবাসী আন্দোলন গড়ে তুলবে। এসব দাবি তুলে ধরে ইতোমধ্যে এলাকাবাসী প্রধানমন্ত্রী বরাবর আবেদন করেছেন।
সরেজেমিনে দেখা যায়, গত শুক্রবার রাত থেকে একাধিকবার লোডশেডিং ও শনিবার (২৮আগস্ট) সারাদিন ধরে বিদ্যুৎ ছিলনা চরফ্যাশনে। এ অবস্থা চলে বছর জুড়েই। এব্যাপারে কর্মকতাদের সাথে যোগাযোগ করলে তারা গ্রাহকদের কথায় গুরুত্ব না দিয়ে যাত্রিকত্রুটি, লাইন পুরাতনসহ নানা গল্প শোনান। যা তাদের গাফিলতি ও স্বেচ্ছ্বাচারিতাই প্রকাশ পায়।
ওই আবেদন সুত্রে জানা যায়, ভোলার প্রাপ্ত গ্যাসে সরকারিভাবে ২২৫ মে: ও:, বেসরকারীভাবে ১০০ মে: ও:, অপর একটি বেসরকারী কোম্পানীর মাধ্যমে ৩৫ মে: ও: সহ ভোলায় মোট ৩৬০ মে: ও: বিদ্যুৎ উৎপন্ন হচ্ছে।
ভোলা রেন্টাল পাওয়ার প্লান্ট থেকে উৎপাদিত ৩৫ মে: ও: বিদ্যুৎ ভোলা সদর ও দৌলতখান এবং জাতীয় গ্রিড থেকে ৪০ মে: ও: বিদ্যুৎ বোরহানউদ্দিন, লালমোহন, তজুমুদ্দিনসহ চরফ্যাশন উপজেলায় সরবরাহ করা হয়।
এক্ষেত্রে ভোলার ৩৫ মে: ও: প্লান্টটি যান্ত্রিক ত্রুটির কারনে প্রায়ই বন্ধ থাকে অথবা গাফিলতি করে বন্ধ রাখা হয়। যার ফলে ভোলাসহ চরফ্যাশনে প্রায় সময় বিদ্যুৎ থাকে না।
এছাড়াও ভোলা-টু-চরফ্যাশন অনেক পুরাতন ৩৩ কেভির একটি লাইন। যা লোড নিতে পারে না। বিদ্যুৎ বিভাগের শত শত কর্মকর্তা এই পুরাতন, মেয়াদোত্তীর্ণ, লক্কর-জক্কর মার্কা যন্ত্রপাতি নিয়ে সারাক্ষণ যুদ্ধ করেন। নতুন যন্ত্রপাতি লাগিয়ে বিদ্যুৎ লাইন অধুনিকায়ন করেন না। তাই চরফ্যাশনসহ ভোলাবাসীর এই ভোগান্তি।
এলাকাবাসীর দাবি, ভোলার ব্যবসা, ইলিশ, দধি, ও পর্যটন, পর্যটকসহ সব কিছু চাঙ্গা রাখতে প্রযোজন ২৪ ঘণ্টা নিরচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ। যার কোন বিকল্প নেই। তাই তাদের পরামর্শ ভোলায় নতুন লাইন, নতুন সাব স্টেশন তৈরী, জেলার বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডের সাথে সংযুক্ত করে সরবরাহ করা হলে জেলার ২২ লাখ মানুষ বিদ্যুতের ভোগান্তী থেকে রক্ষা ও নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ পাবে।