সাংস্কৃতিক প্রতিবেদক
দেশের বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবী, শিক্ষাবিদ, গবেষক ও লেখক প্রফেসর ড. এবনে গোলাম সামাদ ইন্তিকাল করেছেন। আজ ১৫ আগস্ট ২০২১ রোববার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে রাজশাহী মহানগরীর ফায়ার ব্রিগেড মোড়ের নিজ বাসভবন নছিরন ভিলায় তিনি মারা যান। ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।
তিনি বেশ কিছুদিন ধরে বিভিন্ন রোগে ভুগছিলেন। সম্প্রতি তিনি করোনাক্রান্ত হন। পরে করোনা নিগেটিভও হয়। তাঁকে প্রথমে রাজশাহী মেডিকেলে এবং পরে নগরীর জমজম হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়। গত বৃহস্পতিবার তিনি নিজ গৃহে ফিরে আসেন।
এবনে গোলাম সামাদ ২৯ ডিসেম্বর ১৯২৯ সালে রাজশাহীতে জন্মগ্রহণ করেন। পিতা মো. ইয়াসিন আলী ছিলেন রেলওয়ের স্টেশন মাস্টার। তাঁর মাতার নাম নছিরন নেসা। খ্যাতিমান লেখিকা দৌলতুননেসা বেগম ড. সামাদের বোন। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি ৪ ছেলে এবং ২ মেয়ের জনক।
তিনি ১৯৪৮-এ শিক্ষা সংঘ বিষ্ণুপুর থেকে বি. কোর্স পাশ করেন যা তখনকার মাধ্যমিক সমমান পাশ ছিল। এরপর তিনি রাজশাহী কলেজ থেকে ১৯৪৯ সালে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেন। তেজগাঁও কৃষি ইনিস্টিটিউট থেকে কৃষিবিদ্যায় স্নাতক সম্পন্ন করার পর তিনি বিলেতে পাড়ি জমান উদ্ভিদ রোগতত্ত্বের ওপরে গবেষণা করতে। ফ্রান্সে ৪ বছর গবেষণা করেন প্ল্যান্ট ভাইরাসের ওপরে। ১৯৬৩ সালে দেশে ফিরে ১৯৬৫ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন। ১৯৭১ সালে তিনি মহান মুক্তিযুদ্ধে যোগদান করেন এবং কোলকাতার জয়বাংলা পত্রিকার সঙ্গে যুক্ত হন।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদ বিজ্ঞানের অবসরপ্রাপ্ত প্রফেসর ড. সামাদ ছিলেন বাংলাদেশের একজন বিশিষ্ট পণ্ডিত, চিন্তাবিদ, বহুমাত্রিক লেখক এবং কলামিস্ট। উদ্ভিদ বিজ্ঞানী হলেও ইতিহাস ও শিল্পকলায় তিনি বিশেষ আগ্রহী ছিলেন। এ সব বিষয়ে তাঁর লেখালিখি রয়েছে- যা মননশীল বক্তব্যে ঋদ্ধ। পরিণত বয়সে কলম ধরে তিনি সাহসিকতার সঙ্গে ইতিহাসের অমূল্য উপাদান সংরক্ষণ করেন।