নিজস্ব প্রতিবেদক
রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশের দোকানপাট, রাস্তঘাট, হাসপাতাল, যানবাহনে হাজার হাজার করোনা রোগী দেদার হেঁটে বেড়াচ্ছেন! কেউ জেনে কেউ না জেনে। কেউ ইচ্ছে করে। কেউ পুরো পরিবার আক্রান্ত হওয়ায় বাধ্য হয়ে।
এসব রোগীর কেউ এক ডোজ টিাকা নেয়া, কেউ দুই ডোজ টিকা নেয়া। কেউ ইচ্ছে করেই করোনা নিয়ে হাটে বাজারে সব কাজ করে বেড়াচ্ছেন, কারো ইমিউনিটি বেশি থাকায় এটাকে তোয়াক্কাই করছেন না, তাই ইমিউনিটি কম ও বৃদ্ধরা ঝুকিতে ও ভোগান্তিতে পড়ছেন, প্রাণ হারাচ্ছেন।
এক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, যারা আক্রন্ত হননি তাদেরকেই সতর্ক থাকতে হবে। নিরাপদে থাকতে হবে।
প্রয়োজন না থাকলে ঘরেই থাকতে বলেছেন তারা।
এ ব্যাপারে সরেজমিনে দেখা গেছে, গতকাল মহাখালীর ডেডিকেটেড কোভিড হাসপাতালের এক রোগী দক্ষিণ পাড়া সিএণ্ডবি রোডে এসছেন সেনিটাইজার পাল্টাতে। জানা গেলো তিনি কোভিড রোগী। তাকে দেখে বোঝাই গেলোনা সে সুস্থ্য না অসুস্থ্য।
দিব্বি ঘুরে বেড়াচ্ছেন গলায় মাস্ক ঝুলিয়ে। কয়েকটি ফার্মেসি থাকায় ওষুধ কেনার নামে মনে হচ্ছে করোনা রোগী ও তাদের স্বজনরা যেন এখানে হাট বসিয়েছেন।
শ্যামলীর পপুলার হাসপাতালে কোভিড আক্রান্ত মাকে সিটিস্ক্যান করানোর জন্যে নিয়ে এসেছেন জনৈক খাইরুল। মায়ের সাথে ঘুরছেন, রিপোর্ট তুলছেন, ওষুধ কিনছেন। রিক্সা ভাড়া করছন সাধারণ মানুষের মতোই। কোভিড আক্রান্ত মায়ের মুখের কাছে গিয়ে কথা বলছেন। জিজ্ঞেস করতেই বললেন, অসুবিধে নেই আমিও পজেটিভ। দুই ডোজ টিকা নেয়া আছে।
উত্তরায় প্রাইভেট কারের জন্য অপেক্ষা করছিলেন এক মহিলাসহ তিন জন। অনেক কৌশলে জানা গেলো মহিলাটি কোভিড আক্রান্ত। এক্স-রে করাতে নেয়া হচ্ছে তাকে। মহিলার সাথে ওই দুই জনের ঘনিষ্ঠতা ও চাল চলন দেখে বোঝা মুশকিল ছিল যে মহিলা পজেটিভ। তবে সাথের দুই জন ছিলেন একটু সবল। জিজ্ঞেস করতেই বললেন অসুবিধে নেই। পড়ে জানা গেল তারাও পজেটিভ।
এব্যাপরে জনৈক আবুল হোসেন বলেন, আমার সাথে এক করোনা রোগীর দেখা হয়েছে ৫ দিন আগে। টি-স্টলে বসে চা খাচ্ছিলেন। সুঠাম দেহী ওই ব্যক্তি নির্ধিদায় বলেই ফেললেন আমার পজেটিভ আজ ৯ দিন। আমার জ্বরও হয়নি। প্রশ্ন করা হলো তাই বলে সবার সাথে হাটঁবেন। বললেন, আরে বাদ দেন বাংলাদেশের সবাইরই করোনা হয়ে হেছে।
এ ব্যাপারে অধ্যাপক ইদ্রিস মাদ্রাজীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, হতেই পারে। তবুও সাবধান! আনেকের শরীরে ইমিউনিটি বেশি থাকায় তাকে করোনা বেশি কাবু করতে পারছে না। তাই সে দেদার ঘুরে বেড়াচ্ছে। এক্ষেত্রে যারা আক্রান্ত নয় তাদেরই বেশি সাবধান হতে হবে।