নিজস্ব প্রতিবেদক
নারায়নগঞ্জের রুপগঞ্জ সেজান জুস ফেক্টরির অগ্নিকান্ডের ঘটনায় চরফ্যাশনের নিখোঁজ সাত শ্রমিকের মধ্যে চার শ্রমিকের লাশ তাঁদের পরিবারের নিকট হস্তান্তর ও দাফন করা হয়েছে। নারায়নগঞ্জের ওই অগ্নিকান্ডে চরফ্যাশনের ১০ শ্রমিক ফিরলেও নিখোঁজ ছিলো ৭ শ্রমিক। নিখোঁজ শ্রমিকদের পরিবারের ডিএনএ টেস্ট কার্যক্রম শেষে ৩১দিন পর রবিবার (৮আগস্ট) সকালে চার শ্রমিকের পুড়ে যাওয়া দেহাবশেষ তাঁদের পরিবারের কাছে পৌছে। ওই চার শ্রমিকের পরিচয় নিশ্চিত করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) তাঁদের স্বজনদের কাছে ৭ আগস্ট শনিবার দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) মর্গ থেকে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে স্বজনরা জানান।
সূত্রে জানা যায়, লাশের স্বজনদের সঙ্গে ডিএনএ ম্যাচিং শেষে তাঁদের পরিচয় প্রোফাইল তৈরী করা হয়। এরা হলেন, এওয়াজপুর ইউনিয়নের আবদুল মান্নানের ছেলে নোমান (২০), আবদুল্লাহপুর ইউনিয়নের ফজলুর রহমানের ছেলে হাসনাইন (১৬), কবিরের ছেলে রাকিব (১৮), নজরুল নগর ইউনিয়নের ফখরুলের ছেলে শামিমের (১৮)। লাশগুলো তাঁদের বাড়িতে পৌছেছে বলে পরিবারগুলো নিশ্চিত করেন। ফজলুর রহমান বলেন, আমার ছেলে হাসনাইনসহ আরও তিনজনের লাশ একই সঙ্গে চরফ্যাশনে আসে। সকালেই ছেলেকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। অপর ৩ জনের লাশ শনাক্ত করা যায় নি। তাই স্বজনরা পায়নি।
এছাড়াও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ প্রত্যেকের পরিবারকে ২৫ হাজার করে টাকা দিয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নোমান রাহুল বলেন, পাঁচজনের তথ্য জেলা প্রশাসনের কাছে দেয়া হয়েছে। তবে বাকি নিখোঁজদের বিষয়টি ঊর্ধ্বোতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করা হবে।