অর্থনৈতিক প্রতিবেক
মহামারি করোনাকালে বাংলাদেশের প্রায় ৭৮ শতাংশ নারী-প্রধান পরিবার অর্থনৈতিক সংকটে পড়েছে। এদের মধ্যে অনেকেই কাজ বা চাকরি হারিয়েছেন মহামারিতে।একইসঙ্গে তাদের সংসারে কাজের চাপও বেড়েছে। সম্প্রতি ‘বাংলাদেশে কোভিড-১৯ মহামারির সময়ে সংসারে সেবাকাজের দ্রুত বিশ্লেষণ’ শীর্ষক এক জরিপে এ তথ্য উঠে এসেছে।
শনিবার ‘ফরমাল রিকগনিশন অব উইম্যান’স আনকাউন্টেড ওয়ার্ক’ এর উদ্যোগে এক ওয়েবিনারে জরিপটি উপস্থাপন করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক শরমিন্দ নিলোর্মী। ফোরামটির সঙ্গে পাঁচটি সদস্য সংস্থা রয়েছে।সেগুলো হলো- মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন, অ্যাকশন এইড বাংলাদেশ, বাংলাদেশ নারী প্রগতি সংস্থা, সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ ও অক্সফাম।
২০২০ সালের নভেম্বর থেকে ২০২১ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত দেশের নয়টি গ্রাম ও শহরে জেলাগুলোতে এই জরিপ চালানো হয়। যেখানে ৩১ থেকে ৪৫ বছর বয়সী ৮৭ শতাংশ নারী ও ১৩ শতাংশ পুরুষ অংশ নেন।অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ৪৭ শতাংশ গৃহিনী ও অন্যরা বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত জানানো হয়েছে। জরিপে আরও জানা গেছে- এই করোনাকালে রান্না করা, পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা এবং ধোয়ার কাজ গ্রামীণ নারীর মতো হলেও শহরে নারীর কাজ ১২৮ শতাংশ বেড়েছে।
জরিপের তথ্য বলছে, করোনার আগে সাড়ে ৭১ শতাংশ গৃহিণী প্রতি দিন ৩-৫ ঘণ্টা গৃহস্থালির কাজ করতেন।কিন্তু করোনাকালে তাদের মধ্যে প্রায় ৩৮ শতাংশ গৃহিণীর ব্যস্ততা বেড়েছে গৃহস্থালির কাজে। আর করোনা চলাকালীন ৮৫ শতাংশ কর্মজীবী নারীকে প্রতিদিন প্রায় চার ঘণ্টারও বেশি সময় গৃহস্থালির কাজে দিতে হয়েছে।
অনুষ্ঠানের সভাপতির বক্তব্য দেন মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনাম। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় কমিটির সদস্য সাবের হোসেন চৌধুরী।
ওয়েবিনারে জরিপের ওপর আলোচনা করেন বিএনপিএসের নির্বাহী পরিচালক রোকেয়া কবীর, অক্সফাম উম্যান এমপাওয়ারমেন্ট অ্যান্ড কেয়ার প্রোগ্রামের ম্যানেজার সারা হল, সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন, ইউএন উম্যানের কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ সোকো ইশিকাওয়া, অ্যাকশন এইড বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর ফারাহ কবীর প্রমুখ।