নিজস্ব প্রতিবেদক
করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে লকডাউনের (বিধিনিষেধের) মধ্যে ঈদুল ফিতরের তিনদিনের ছুটিতে সরকারি-বেসরকারি চাকরিজীবী ও শিল্প-কারখানার কর্মীদের কর্মস্থলেই থাকতে হবে। সংশ্লিষ্টদের এ বিষয়ে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।
মঙ্গলবার (৪ মে) প্রতিমন্ত্রী জাগো নিউজকে বলেন, ‘সরকারি ও বেসরকারি ক্ষেত্রে ছুটি তিনদিনই থাকবে এবার। আমাদের প্ল্যান ছিল একদিন ছুটি দেয়ার। ঈদের ছুটির দুদিন শুক্র ও শনিবারই মনে হচ্ছে যাবে। যাতে কেউ কোথাও যেতে না পারে, ঢাকা না ছাড়তে পারে। কারণ ঢাকা হচ্ছে করোনার উচ্চ সংক্রমণশীল এলাকা। ৮০ শতাংশ সংক্রমণই হয় ঢাকায়।’
তিনি বলেন, ‘ঢাকা থেকে বা ঢাকার আশেপাশে থেকে শ্রমিকরা যদি ঈদের সময় অন্য জায়গায় চলে যায় তবে ম্যাসাকার হবে। সে জন্য আমরা চাচ্ছি সবাই কর্মস্থলেই থাকুক।’ ‘সরকারি-বেসরকারি সবক্ষেত্রে নির্দেশনা দেয়া আছে, ছুটি তিনদিনই থাকবে, কেউ এর বাইরে ছুটি দিতে পারবে না’, বলেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী।
ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘পরিস্থিতি অনুযায়ী এখনও চলাচলে কড়াকাড়ি আরোপ করার বিষয় আছে। আমরা বলছি, ঈদের সময় যে যেখানে আছেন সেখানেই থাকবেন। লোকজন মুভ করলে এটা ব্যাপকভাবে বেড়ে যেতে পারে। ভারতের বিষয়টি আমাদের পর্যবেক্ষণ করতে হচ্ছে। সে জন্য আমরা সতর্ক অবস্থানে আছি।’ চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১৩ বা ১৪ মে দেশে মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে।
আগামী ১২ মে (বুধবার) থেকে শুরু হচ্ছে ঈদের ছুটি। রমজান মাস যদি ২৯ দিনে শেষ হয় তবে ঈদুল ফিতর হবে ১৩ মে। এক্ষেত্রে ১৩ ও ১৪ মেও (বৃহস্পতি ও শুক্রবার) ঈদের ছুটি থাকবে। তবে রমজান মাসের ৩০ দিন পূর্ণ হলে ঈদের ছুটি আরও একদিন বাড়বে, সেক্ষেত্রে ১৫ মেও (শনিবার) ছুটি থাকবে।