ঈদ যাত্রায় সুরক্ষার কথাও ভাবতে হবে

0
6

দুই বছর পর স্বতঃস্ফূর্তভাবে ঈদ উদ্‌যাপনের জন্য ঢাকা ছাড়ছে মানুষ। করোনার কারনে আগের চার ঈদ ছিল মলিন। এবারের আনন্দযাত্রায় স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়টি মাথায় রাখতে বলছেন বিশেষজ্ঞরা।

সপ্তাহ ধরে দেশের প্রায় অর্ধেক এলাকায় তীব্র দাবদাহ চলছে। এই সময়ে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কম-বেশি দেখা গেছে। তীব্র গরমের এই যাত্রায় বয়স্ক মানুষ যেমন থাকবেন, থাকবে শিশুরা। কোনো কোনো অঞ্চলের মানুষকে দীর্ঘ সময় রাস্তায় থাকতে হবে। যানজটে পড়লে মানুষের কষ্ট বাড়বে। তাই যাত্রার আগেই প্রস্তুতির কথা বলেছেন চিকিৎসকেরা।

তারা বলেন, যাত্রাকালে ঢিলেঢালা কাপড় পরতে হবে। প্রয়োজনীয় খাবার ও পানি সঙ্গে নিতে হবে। রাস্তার খাবার খাওয়া ঠিক হবে না। বাসে বা ট্রেনে শিশুদের আসন জানালার কাছে রাখার চেষ্টা করতে হবে। গর্ভবতী নারীদের ব্যাপারে বিশেষ সতর্ক থাকতে হবে। সঙ্গে খাওয়ার স্যালাইনের প্যাকেট রাখারও পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।

এদিকে ডায়রিয়ার প্রকোপ কিছুটা কমে আসার প্রবণতা লক্ষ করা গেলেও ঝুঁকি কমেনি। গত বুধবার আইসিডিডিআরবি মহাখালী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন ৮৩৭ জন রোগী। সারা দেশের সরকারি হাসপাতালে কম-বেশি ডায়রিয়ার রোগী ভর্তি হচ্ছে বলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে।

ডায়রিয়ার জন্য বাড়তি সতর্কতার কথা বলছেন বিশেষজ্ঞরা। এই সময় ডায়রিয়া থেকে দূরে থাকতে পাঁচ দফা পরামর্শ দিয়েছে আইসিডিডিআরবি: পানি ফুটিয়ে খেতে হবে, রাস্তার পাশের অস্বাস্থ্যকর ও উন্মুক্ত খাবার খাওয়া যাবে না, খাওয়ার আগে সাবান-পানি দিয়ে হাত ধুতে হবে, পায়খানা করার পর সাবান-পানি দিয়ে হাত ধুতে হবে এবং পারতপক্ষে ফিডারে শিশুকে কিছু খাওয়ানো যাবে না।

এবার প্রায় করোনামুক্ত পরিবেশে ঈদের উৎসব হলেও ঝুঁকি একেবারে শেষ হয়ে যায়নি। ঈদযাত্রায় বাস, ট্রেন ও লঞ্চে অনেক ভিড় থাকবে। এই ভিড়ে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। তবে মাস্ক পরা সম্ভব। এই সময় মাস্কই সুরক্ষা দেবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here