বিনোদন প্রতিবেদক
বাংলা চলচ্চিত্রের মহানায়িকা সুচিত্রা সেনের মৃত্যুবার্ষিকী আজ। তাঁর রোমান্টিক দৃষ্টির মধ্যে ছিল সম্মোহনী শক্তি, যার আকর্ষণে দর্শকরা হতেন মোহাবিষ্ট। বিশেষ করে তাঁর মুখ, গভীর চোখের চাহনি, কথা বলার ভঙ্গি ও মোহময়ী হাসির মধ্যে গড়ে উঠেছিল এক অসাধারণ স্ক্রিন পার্সোনালিটি।
১৯৩১ সালের ৬ এপ্রিল বাংলাদেশের পাবনাতে জন্ম সুচিত্রা সেনের, তার আসল নাম রমা দাশগুপ্ত।
১৯৫২ সালে চলচ্চিত্র জগতে প্রথম পা রাখেন সুচিত্রা সেন। তার প্রথম ছবি ‘শেষ কোথায়’ মুক্তি পায়নি। এরপর ১৯৫৩ সালে মহানায়ক উত্তম কুমারের সঙ্গে অভিনীত ‘সাড়ে চুয়াত্তর’সাড়া ফেলে দেয় চলচ্চিত্র অঙ্গনে।
সুচিত্রা সেন ১৯৭৮ সালে ‘প্রণয় পাশা’ ছবি করার পর লোকচক্ষুর অন্তরালে চলে যান। ২০০৫ সালে সুচিত্রা সেনকে ভারতের চলচ্চিত্র অঙ্গনের সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় সম্মান দাদা সাহেব ফালকে পুরস্কার দেয়ার প্রস্তাব করা হয়। কিন্তু লোকচক্ষুর আড়ালে থাকাতে সুচিত্রা সেন দিল্লিতে গিয়ে ওই সম্মাননা গ্রহণ করতে অপারগতা প্রকাশ করেন।
সুচিত্রা সেন ১৯৬৩ সালে মস্কো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে ‘সাত পাকে বাঁধা’ ছবিতে অভিনয়ের জন্য সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার পান। ১৯৭২ সালে রাষ্ট্রীয় সম্মাননা পদ্মশ্রী পান। ২০১২ সালে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বাংলাবিভূষণ সম্মাননা দেয়া হয় তাঁকে।
‘সপ্তপদী’, ‘দীপ জ্বেলে যাই,’ ‘হারানো সুর’, ‘সাত পাকে বাঁধা’ এবং হিন্দি ‘দেবদাস’, ‘আঁধি’ ছবিগুলোই তার প্রমাণ। বাঙালির মানস-সুন্দরী সুচিত্রা সেন কখনো গ্ল্যামারাস নায়িকা, কখনো স্নেহময়ী মা, কখনো আটপৌরে বউ…।
২০১৪ সালের ১৭ জানুয়ারি কলকাতায় বেলভিউ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।