সাকিব মাহমুদ
পর্যটন নাগরী চরফ্যাশনের বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে আবার উপচে পড়া ভীড় শুরু হয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে পর্যটন কেন্দ্রগুলো চালু হওয়ার সাথে সাথে পর্যটকদের ভীড় বাড়তে শুরু করে। গত ২৪ মে থেকে জাহাজ চলাচল স্বাভাবিক হওয়া এবং ঘূর্ণিঝড় যশ আতংক কেটে যাবার পর এই ভীড় আরো কয়েক গুণ বেড়ে গেছে। ঝড়ঝঞ্জা উপেক্ষা করে নদী ও সাগর দেখতে আগ্রহী এবং সাহসী পর্যটকদের সংখ্যাই এখন বেশি লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
পর্যটকদের এই অবাদ বিচরণে বেতুয়ার প্রশান্তি পার্ক, বেতুয়া কায়াকিং পয়েন্ট, জ্যাকব টওয়ার, ফ্যাশন স্কয়ার, শেখরাসেল শিশুপার্ক, খামার-বাড়ি, কুকরি-মুকরী (দ্বিতীয় সুন্দরবন), ঢালচর, তারুয়া সমূদ্র সৈকত, হিরক পয়েন্ট (নতুন জেগে ওঠা শিবচর), সোনার চর, নারিকেল বাগানসহ পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে আবার প্রাণ ফিরে এসেছে। হোটেল, রেস্তোরার পাশাপাশি দধি, ইলিশ মাছ, শুটকী ও দেশী মুরগী বিক্রির দোকন গুলোতে পর্যটকদের ভীড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে সবচে বেশী।
বেতুয়া প্রশান্তি পার্কে ঘুরতে আসা চরফ্যাসনের ব্যবসায়ি আরিফ বলেন, এখানে শত শত মোটরসাইকেল, রিকশা, মাইক্রোবাসে আসছেন দর্শনার্থীরা। স্বাস্থ্যবিধি মানার কথা বলা হলেও অনেকের মুখে মাস্ক দেকা যায় নি। তবে বেতুয়া পয়েন্টে শত শত দর্শনার্থীর সমাগম দেখে ভালো লাগছে। তাঁরা কেউ নদীতে ট্রলার ও স্পিডবোটে ঘুরছেন। পানিতে নেমে াানন্দ করছেন, আবার কেউ তীরে দাঁড়িয়ে নদীর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করছেন। শিশু-কিশোরদের নিয়ে অনেকে ঘুরতে এসেছেন এখানে।
এব্যাপারে সাংবাদিক ও শিক্ষাবিদ মনির উদ্দীন চাষী বলেন, বেতুয়াসহ অন্যান্য স্পটের মতো একই চিত্র জ্যাকব টাওয়ার ও শেখ রাসেল শিশু পার্ক এলাকায়। সেখানেও প্রচুর দর্শনার্থীর সমাগম। তবে টাওয়ারে ওঠা ও পার্কে প্রবেশ বন্ধ থাকায় অনেক দর্শনার্থী হতাশা প্রকাশ করছেন।