নিজস্ব প্রতিবেদক
কুড়িতে বুড়ি কিংবা চল্লিশে চালশে-তথাকথিত এই ভাবনাগুলো এখন পুরনো। একালের নারীরা বয়সটাকে হাতের মুঠোয় বন্দী করে এগিয়ে চলেছেন সর্বত্র। মেয়েদের জীবনে বয়সের যে দশকগুলো থাকে তার ব্যবধানগুলো খুব গুরুত্বপূর্ণ।
এই খাবারগুলোতে ফাইবার, উদ্ভিজ প্রোটিন এবং কয়েক রকমের ভিটামিন থাকে। এ জাতীয় খাবার ব্লাডসুগার বা রক্তে শর্করা পরিমাণ নিয়ন্ত্রণই নয়, রক্তচাপ, কোলেস্টেরল, ওজন নিয়ন্ত্রণ করতেও সাহায্য করে। শরীরে উপকারী ব্যাকটেরিয়া সৃষ্টি করে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। ফলশ্রুতিতে শরীর থাকে সুস্থ ও সতেজ।
আখরোট খেতে পারেন। কারণ, আখরোটে আছে ভিটামিন-ই, মেলাটোন, স্বাস্থ্যকর তেল জাতীয় উপাদান, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং গুরুত্বপূর্ণ ওমেগা-৩। এই উপাদানগুলো কার্ডিও ভাসকুলার রোগ হতে দেয় না।
শরীরে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট তৈরি করে বিনস। কারণ, বিনসে আছে প্রচুর পরিমাণ অ্যামাইনো এসিড ও প্রোটিন। এতে থাকা ফোলেট, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ইত্যাদি এনার্জি বাড়ায়, অ্যানিমিয়া এবং ক্যান্সারের প্রবণতা কমায়।
খাবার তালিকায় পরিচিত সবজি বেগুন রাখতে পারেন। এতে আছে প্রচুর পরিমাণ খাদ্যগুণ। ১৩ রকমের ফেনোলিক এসিড আছে বেগুনে। এই এসিড ক্যান্সার আক্রমণ থেকে রক্ষাকবচ গড়ে তোলে।
শরীরে আয়রনের পরিমাণ ঠিক রাখতে সামুদ্রিক মাছ, শুকনো ফল, মটরশুঁটি, পালং শাক, কচু শাক খেতে পারেন। মাঝে মধ্যে গরুর মাংস, মুরগির মাংসও খাওয়া যেতে পারে আয়রনের জন্য।
চল্লিশ মানে আর নয় কোনো দ্বিধা, নয় কোনো ভ্রান্তি। শারীরিক-মানসিক নতুন নতুন চ্যালেঞ্জকে জয় করে এগিয়ে যাওয়ার নামই চল্লিশ। নিয়মিত সুষম খাবার খান, ব্যায়াম করুন, ত্বকের যত্ন নিন আর চমকে দিন সমাজ-সংসার-কর্মক্ষেত্রের সবাইকে। কারণ, আপনি অনন্যা, আপনি আধুনিকা এবং সেই আপনিই রূপবতী, অতুলনীয়া।