নিজস্ব প্রতিবেদক
আজ শুক্রবার দিবাগত রাতে পালিত হবে পবিত্র শবেবরাত। দেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা প্রস্তুতি নিচ্ছেন রাতভর ইবাদত-বন্দেগি, তাসবিহ-তাহলিল-কোরআন তেলাওয়াত ও পরদিন রোজা রাখার। ঘরে ঘরে হালুয়া-রুটি-গোস্ত-পায়েস-শিরনী-ফিরনী-মিস্টান্নসহ উপাদেয় খাদ্য-খাবার তৈরির জন্য গৃহিণীরা ব্যস্ত।
আজ দিনের সূর্য অস্ত গেলেই চরাচর ঘিরে নিবে এক ধর্মীয় উৎসবের আবহ। মসজিদগুলো ভরে উঠবে। ইমাম সাহেবরা বয়ান করবেন। মুসল্লিরা নামাজ আদায় করবেন। আত্মীয়-স্বজনরা পরস্পরের বাসা-বাড়িতে ঘুরবেন। পাড়ায় পাড়ায় আনন্দধারা বইবে।
অনেকে যাবেন গোরস্থানে মৃত স্বজনদের জন্য দোয়া করতে। আলোক সজ্জায় উদ্ভাসিত করা হবে মসজিদ, পীরের মাজার, খানকাসহ বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান। কবি গোলাম মোস্তফার ভাষায়-‘সারা মুসলিম দুনিয়ায় আজি এসেছে নামিয়া ‘শবেবরাত’/ রুজি-রোজগার-জান-সালামত বণ্টন করা পুণ্য রাত/এসো বাংলার মুসলেমিন/হূতবঞ্চিত নিঃস্ব দীন/ভাগ্য-রজনী এসেছে মোদের, কর মোনাজাত-পাতো দু’হাত/বলো, কথা দাও, সাড়া দাও আজি, জবাব দাও এ প্রার্থনার/যদি নাহি দাও/খাবো না আমরা আজি এ ফিরনী-রুটি তোমার।’