নিজস্ব প্রতিবেদক
ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে চরফ্যাশনসহ ভোলা জেলার সাত উপজেলায় কুরবানির জন্য যথেষ্ট পশু রয়েছে। প্রাণিসম্পদ বিভাগের তথ্যানুযায়ী এক লাখ দুই হাজার ৬০টি পশুর চাহিদার বিপরীতে জেলায় এক লাখ ছয় হাজার ৭৫৪টি পশুর মজুত রয়েছে।
কুরবানির পশুর হাটকে সামনে রেখে এখন চরফ্যাশনে ব্যস্ত সময় পার করছেন খামারিরা। হাটে পশু বিক্রির জন্য প্রতি বছরের মত এবছরও সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক উপায় গরু মোটাতাজা করতে কাজ করছেন তারা। তবে চাহিদার তুলনায় বেশি পশুর মজুত, দেশের বাইরে থেকে গরু প্রবেশ ও করোনা পরিস্থিতিতে ন্যায্যমূল্য পাবেন কিনা তা নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন খামারিরা।
জানা গেছে চরফ্যাশন উপজেলার চরকলমী, হাজারীগঞ্জ ও জিন্নগড় ইউনিয়নের ছোট বড় খামারিরা কুরবানির পশুর হাটে গরু বিক্রি করার জন্য দেশীয় পদ্ধতিতে খইল, ভূষি, কাচা ঘাস, খড়সহ প্রাকৃতিক খাবার খাইয়ে গরু মোটাতাজা করণে ব্যস্ত রয়েছেন।
চরকলমী ইউনিয়নের খামারি হারুন বেপারী, আলমগীর হোমেন ও মো: কাওসার বলেন, আমরা প্রতিবছর কুরবানির হাটে গরু বিক্রির জন্য জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি মাসের দিকে বিভিন্ন এনজিও ও ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে গরু কিনি। দেশীয় পদ্ধতিতে প্রাকৃতিক উপায়ে খইল, ভূষি, ঘাস, খড় খাইয়ে গরুগুলোকে মোটাতাজা করি। এরপর কুরবানির পশুর হাটে বিক্রি করে লাভবান হই।
তবে এবছর পশু বিক্রি করে খরচের টাকা উঠে আসবে কিনা তা নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন খামারিরা। তারা বলছেন, এ বছর করোনার প্রাদুর্ভাব বেড়ে যাওয়ায় পশুর হাটে ক্রেতাদের ভিড় না হলে গরুর ভালো দাম পাবেন না। আর দাম ভালো না পেলে ঋণ পরিশোধ করতে বিপাকে পড়বেন তারা।
চরমাদ্রাজ ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের চর আফজাল গ্রামের মো. সাইফুল বলেন, কিছু আসাধু খামারি ওষুধ ও ইনজেকশন দিয়ে অবৈধভাবে গরু মোটাতাজা করে হাটে বিক্রি করতে আনবে। আমরা ওই সব প্রতারক খামারিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাচ্ছি।
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ইন্দ্রজিৎ কুমার মন্ডল গণমাধ্যমকে বলেন, অবৈধভাবে গরু মোটাতাজা করে হাটে বিক্রি করতে আসা খামারিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
তিনি জানান, সাত উপজেলায় চাহিদার চেয়ে কুরবানির পশুর মজুত বেশি রয়েছে। ফলে জেলায় অন্য কোথাও থেকে কুরবানির পশু আনতে হবে না। তবে করোনা সময়ে খামারিরা ন্যায্যমূল্য পাওয়া নিয়ে শঙ্কায় আছে।