মকবুল পাশা,পাবনা থেক
পাবনায় বাংলা চলচ্চিত্রের কিংবদন্তি মহানায়িকা সুচিত্রা সেনের অষ্টম মৃত্যুবার্ষিকী পালন করা হয়েছে। সোমবার (১৭ জানুয়ারি) সকাল ১১টায় পাবনা শহরের হেমাসাগর লেনে পৈত্রিক বাড়িতে সুচিত্রা সেনের ম্যুরালে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন সাংস্কৃতিককর্মীরা। পরে অনুষ্ঠিত হয় স্মরণসভা।
দিনটি পালনে সুচিত্রা সেন স্মৃতি সংরক্ষণ পরিষদ পুষ্পমাল্য অর্পণ ও স্মরণসভার আয়োজন করে। ২০১৪ সালের ১৭ জানুয়ারি কলকাতার বেলভিউ হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন এই কিংবদন্তি নায়িকা।
সুচিত্রা সেন স্মৃতি সংরক্ষণ পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ড. নরেশ মধুর সঞ্চালনায় স্মরণসভায় বক্তব্য দেন-পরিষদের সদস্য মাজহারুল ইসলাম, পাবনা প্রেসক্লাব সভাপতি এবিএম ফজলুর রহমান, পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের প্রধান ড. হাবিবুল্লাহ, জেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বিনয় জ্যোতি কুন্ডু, পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক সরোয়ার উল্লাস, সাংস্কৃতিক কর্মী শিশির ইসলাম, অঞ্জলি ভৌমিক ও আনিকা তাসনিম প্রমুখ।
সভায় সুচিত্রা সেনের পৈত্রিক বাড়ি উদ্ধারের দীর্ঘদিন পার হলেও বাড়িটিতে স্মৃতি সংগ্রহশালা গড়ে না ওঠায় ক্ষোভ প্রকাশ করে বক্তারা বলেন, বাড়িটিতে এখনও সুচিত্রা সেন স্মৃতি সংগ্রহশালা করার কোনো কাজ হয়নি। দিনে দিনে বিষয়টি স্তিমিত হয়ে পড়েছে।
প্রসঙ্গত, পাবনা মধ্য শহরের দিলালপুর মহল্লার পাবনা-ঢাকা মহাসড়ক সংলগ্ন পুরাতন পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের উত্তরে পৈত্রিক বাড়িতে কেটেছে সুচিত্রা সেনের শৈশব ও কৈশোরের দিনগুলো। সুচিত্রা সেন পাবনা সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ে নবম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেন। বাবা করুণাময় দাশগুপ্ত ছিলেন পাবনা মিউনিসিপ্যালিটির স্যানিটারি ইনস্পেক্টর। পরে কর্ম-যোগ্যতায় পদোন্নতি পেয়েছিলেন হেড ক্লার্ক হিসাবে। দেশ ভাগের সময় বাড়ি ঘর ফেলে সুচিত্রা সেনের বাবা সপরিবারে ভারতে চলে যান।