পোষ মানানোর নামে হস্তীশাবকের ওপর নির্যাতন বন্ধের নির্দেশ

0
10

মৌলভীবাজার সংবাদদাতা
মৌলভীবাজারে পোষ মানানোর প্রশিক্ষণের নামে হাতির ওপর চালানো নিষ্ঠুর আচরণ অবিলম্বে বন্ধ করতে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। দ্য ডেইলি স্টারে প্রকাশিত এ–সংক্রান্ত প্রতিবেদন ও পত্রিকাটির ইউটিউব চ্যানেলে প্রচারিত এ–বিষয়ক সচিত্র প্রতিবেদন আমলে নিয়ে আজ সোমবার জেলার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও জাস্টিস অব দ্য পিস মুহম্মদ আলী আহসান এই নির্দেশ দেন।

নির্দেশে হাতির প্রতি নিষ্ঠুর নির্যাতন নিরসনে জুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এবং বন্য প্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের সিলেট বিভাগীয় কর্মকর্তার নিষ্ক্রিয়তা বেআইনি গণ্য করে কেন তাঁদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, তার কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি এ ঘটনার বিষয়ে সরেজমিন তদন্ত করে আদেশকারী বরাবর প্রতিবেদন ও কারণ দর্শানোর জবাব দিতে বলা হয়েছে।

হস্তীশাবককে পোষ মানানো ও বশে আনার জন্য ইচ্ছামতো পেটানোসহ বিভিন্ন কার্যক্রমের বিবরণ তুলে ধরে আদালত বলেন, কোনো প্রাণীকে পোষ মানানোর জন্য নির্যাতনের প্রয়োজন নেই। হাতি একটি সংবেদনশীল প্রাণী, যার স্বাভাবিক অনুভূতি আছে। বাচ্চা হাতি পোষ মানানোর সময় তাকে মায়ের কাছ থেকে আলাদা করা হয়, যা সবশেষ পন্থা হিসেবে বিবেচিত।

আদালত বলেন, হাতি সুরক্ষার জন্য দেশে প্রচলিত আইন বিদ্যমান থাকা সত্ত্বেও এই বেআইনি ও প্রাচীন পদ্ধতিতে হাতিকে পোষ মানানো হচ্ছে। নিষ্ঠুর নির্যাতনে অনেক হস্তীশাবক মারা যায়। যন্ত্রণাদায়ক পদ্ধতিতে হাতিকে মানুষের বশ্যতা স্বীকারে বাধ্য করার ফলে অনেক হাতির মানসিক সমস্যা হয়ে যায়, যাকে প্রচলিত ভাষায় ‘পাগলা হাতি’ বলা হয়। এগুলো শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

হাতি নির্যাতনে জড়িতদের নাম-ঠিকানা, স্বাধীনতার পর থেকে এ পর্যন্ত প্রশিক্ষণের নামে নির্যাতনে মারা যাওয়া হাতির সংখ্যা, হাতি কীভাবে সংগ্রহ করা হচ্ছে, মৌলভীবাজার জেলায় হাতি লালনপালন ও প্রশিক্ষণে কয়জনকে লাইসেন্স দেয়া হয়েছে এবং হাতির প্রতি নিষ্ঠুরতা প্রতিরোধে আইন অনুযায়ী কী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে, সেসব উল্লেখ করে প্রতিবেদন জমা দিতে বলেছেন আদালত।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here