নিজস্ব প্রতিবেদক
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, গণসংগীত শিল্পী ফকির আলমগীরের চলে যাওয়া এক কিংবদন্তির প্রস্থান। শনিবার দুপুরে রাজধানীতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে এই দেশবরেণ্য শিল্পীর অন্তিম শয়ানে ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
৭১ বছর বয়সে শুক্রবার রাতে ফকির আলমগীরের মৃত্যুতে গভীর শোক জানিয়ে ড. হাছান এ সময় বলেন, ফকির আলমগীর শুধু গণসঙ্গীত শিল্পীই ছিলেন না, তিনি আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে, স্বাধীনবাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী হিসেবে কাজ করেছেন, এদেশের গণসঙ্গীতকে সমৃদ্ধ করেছেন। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তির জন্য লড়াই এবং আশির দশক ও নব্বইয়ের গণতান্ত্রিক আন্দোলনে তার অবদান স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ফকির আলমগীরের মতো শিল্পী একদিনে তৈরি হয় না। বহু বছরের সাধনায় তিনি হয়ে উঠেছেন কিংবদন্তি। দক্ষ সংগঠক হিসেবে গণসঙ্গীতকে মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়া এবং জনপ্রিয় করে তোলায় তার ভূমিকা অনন্য।
পরে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় কিংবদন্তি গণসংগীতশিল্পী ও মুক্তিযোদ্ধা ফকির আলমগীরকে দাফন করা হয়। শনিবার (২৪ জুলাই) বাদ যোহর দুপুর ১টা ৫০ মিনিটে খিলগাঁও মাটির মসজিদে দ্বিতীয় নামাজে জানাজা শেষে করোনার স্বাস্থ্যবিধি মেনেই খিলগাঁও তালতলা কবরস্থানে তার দাফন সম্পন্ন করা হয়।