নিজস্ব প্রতিবেদক
অব্যাহত তাপপ্রবাহের কারণে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে বঙ্গোপসাগরের পৃষ্ঠদেশ। ঘূর্ণাবর্তের সঙ্গে সঞ্চারিত হচ্ছে ঘন মেঘমালা। সুপার সাইক্লোন আম্ফানের ঠিক এক বছরের মাথায় আগামী রোববার পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগরে আরো একটি সুপার সাইক্লোন সৃষ্টির আভাস দিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা।
এই সুপার সাইক্লোন ভয়ংকর শক্তি ধারণ করে উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর পেরিয়ে আগামী বুধবারের মধ্যে আঘাত হানতে পারে সুন্দরবনসহ সন্নিহিত উপকূলভাগে। এই ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ করা হয়েছে ‘যশ’। নামটি ওমানের দেয়া। আবহাওয়াবিদরা বলছেন, আগামী ২২ মে শনিবার ঘূর্ণাবর্তটি তৈরি হতে পারে মধ্য বঙ্গোপসাগরে। আন্দামানের কাছে পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগরে রোববার এটি নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর। ক্রমশ এই নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। ২৩ মের পরে নিম্নচাপ অক্ষরেখার গতিবিধি বুঝে এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রাবল্য বা দিক সম্পর্কে আরো বিশদ জানা যাবে। প্রথমে উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে অভিমুখ থাকলেও পরে এর অভিমুখ পরিবর্তন হতে পারে। গতকাল পর্যন্ত এর যে অভিমুখ, তাতে পশ্চিমবঙ্গ-ওড়িশা-সুন্দরবন উপকূল এলাকাতেই আছড়ে পড়ার প্রবল আশঙ্কা রয়েছে।
উইন্ডি ডটকম বলছে, ২৩ মে দুপুরে বঙ্গোপসাগরে দৃশ্যমান হতে পারে ঘূর্ণিঝড় ‘যশ’। যা ধীরে ধীরে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে এগিয়ে আসবে। ২৬ মে দুপুরে ঘূর্ণিঝড়টি ভারতের বালাসোর ও হলদিবাড়িতে আঘাত হানতে পারে। আর বিকাল থেকে রাতের মধ্যে বাংলাদেশের পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া, কুয়াকাটা, সুন্দরবন অংশে আঘাত হানতে পারে। ঘূর্ণিঝড়টির সম্ভাব্য গতিপথ ধরা হয়েছে, বালাসোর থেকে দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে।