নিজস্ব প্রতিবেদক
বুধবার বাবাকে জানিয়েছিল ১২ বছরের শিশু হাছনাইন, কারখানা থেকে ছয় দিন পর বেতন পেলে ঈদ করতে বাড়ি আসবে। সবার সাথে ঈদ করবে। ওই দিন রাতে বাবা ফজলুর রহমানের সাথে মোবাইল ফোনে শেষ এই কথাগুলো হয়েছে শিশু হাছনাইনের।
বৃহস্পতিবার নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ এলাকায় হাসেম ফুডস লিমিটেডে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার পর থেকে তার মোবাইলটি বন্ধ। তিন দিন ধরে হাছনাইনের খোঁজ না পেয়ে তার বাবা-মা নিশ্চিত হয়েছেন সে আর বেঁচে নেই। তার মা শাহানাজ বেগম ছেলের লাশ পাওয়ার আশায় রোববার ঘটনাস্থলের উদ্দেশে বাড়ি ছেড়েছেন।
তবে চরফ্যাশনের আবদুল্লাহপুর ইউপি চেয়ারম্যান আল এমরান প্রিন্স এবং এওয়াজপুর ইউপি চেয়ারম্যান মাহাবুব আলম খোকন জানিয়েছেন, রাকিব, হাসনাইন ও নোমান মিয়া নামের তিনজন মারা গেছে বলে নিশ্চিত করেছেন। দুর্ঘটনার দিন তারা কারখানার চতুর্থ তলায় কাজ করছিলেন।
হাছনাইনের আবদুল্লাহপুরের বাড়িতে গিয়ে দেখা গেছে, বাড়িতে স্বজনদের আহাজারি। উঠানে বিলাপ করছেন তার দুই বোন।
হাছনাইন (১২) চরফ্যাশন উপজেলার আবদুল্লাহপুর ইউনিয়নের ফজলুর রহমানের ছেলে। তিন ভাইবোনের মধ্যে হাছনাইন সবার ছোট। তার বড় দুই বোনের বিয়ে হয়েছে তিন বছর আগে। সংসারে একমাত্র উপার্জনক্ষম বাবা টিবি রোগে আক্রান্ত হয়ে শয্যাশায়ী।
এ কারণে ছোট হয়েও হাছনাইন অসুস্থ বাবার চিকিৎসাসহ সংসারের খরচ জোগাতে চাকরি নিয়েছে রূপগঞ্জের হাসেম ফুডস লিমিটেড কারখানায়।