নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রস্তাবিত বাজেটে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর ১৫ শতাংশ কর আরোপ করায় অনেক বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ হয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতি। শুধু তাই নয় সংগঠনটি নতুন বাজেটে কর আরোপ বাতিল করে করোনা কালীন সময়ের জন্যে প্রনোদনা দেয়ার জন্যে সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছে।
শুক্রবার (৪ জুন) বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতির চেয়ারম্যান শেখ কবির হোসেন এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ শঙ্কার কথা জানান।
এতে বলা হয়, করোনাকালে অর্থ সঙ্কটে পড়া বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো অস্তিত্ব রক্ষার লড়াই করছে। শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা, ভবন ভাড়া অনেক ক্ষেত্রেই অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অর্থপ্রাপ্তির একমাত্র উৎস শিক্ষার্থীদের টিউশন ফি। করোনার কারণে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বন্ধ থাকায় টিউশন ফি পাওয়া যাচ্ছে না।
এইচএসসি পরীক্ষা সময়মতো না হওয়ায় শিক্ষার্থী সংকটও দেখা দিয়েছে। অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের টিউশন ফি’র ওপর ছাড় দিয়ে শিক্ষা কার্যক্রম চালাতে হচ্ছে। এমন সঙ্কটকালে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর কর আরোপ করায় অনুমোদিত নতুন বিশ্ববিদ্যালয়সহ অনেক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
এসব কারণে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর কর আরোপ না করার আহ্বান জানিয়েছে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতি। পাশাপাশি, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যায়গুলোর অস্তিত্ব রক্ষায় সরকার প্রণোদনাসহ অন্যান্য সহায়তা দেবে বলে আশা প্রকাশ করেছে সংগঠনটি।
বর্তমানে দেশে ১০৭ টি অনুমোদিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় ৫ লাখ শিক্ষার্থী আছে। এতে উচ্চ শিক্ষার জন্য বিদেশ গমনের প্রবণতা হ্রাসের পাশাপাশি মূল্যবান বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় ও মেধা পাচার রোধ করা সম্ভব হচ্ছে। অনেক বিদেশি শিক্ষার্থী বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পড়তে বাংলাদেশে আসছে। এছাড়া, দেশে ও বিদেশে বিশাল কর্মসংস্থান সৃষ্টি, নতুন উদ্যোক্তা ও পেশাজীবী তৈরিসহ বিশাল জনগোষ্ঠীকে জনসম্পদে রুপান্তরিত করার মাধ্যমে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে বিশেষ ভূমিকা পালন করছে।