নিজস্ব প্রতিবেদক
ভোলায় পত্রিকা বিপনন কর্মী (হকার) মাকসুদের ওপর হামলা, পিটিয়ে হাত ভেঙে দেয়ার ঘটনায় আসামী মোহাম্মদ আলী জিন্না (রাজিব) কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রাজিবের বিচার দাবিতে বুধবার মানববন্ধন বিক্ষোভ মিছিল করেছে জেলা সংবাদপত্র হকার্স ইউনিয়ন।
সূত্র জানায়, আহত হকার্স মাকসুদের দায়ের করা মামলায় পুলিশ মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১২ টায় রাজিবকে গ্রেফতার করে। একই সঙ্গে রাজিবের বিরুদ্ধে ভিওআইপি ব্যবসা, মাদকসহ নানা অভিযোগ থাকায় পুলিশ বুধবার আদালতের সার্চ ওয়ারেন্টের আদেশে বিকালে রাজিবের বাড়ি তল্লাশি চালিয়ে বিদেশি মদের বোতল, চোলাই মদ ও ইয়াবা সেবনের সরঞ্জামাদী জব্ধ করে। এ সময় জব্ধ করা হয় চারটি ল্যাপটপ, দুটি মনিটরসহ বিপুল ইলেকট্রনিকস যন্ত্রাংশ।
এর আগে রাজিব তার বাবা ও মা’কে মারধর করে চার তলা বাড়ি থেকে বের করে দেয়। এমন অভিযোগে রাজিবের বাবা শহরের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী সোলায়মান বাচ্চু পুলিশ সুপার বরাবর বিচার চেয়ে ছিলেন, বলে জানান পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার।
ভোলা থানার ওসি এনায়েত হোসেন ও রাজিবের ঘনিষ্টজনরা জানান, রাজিবের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে নানা অভিযোগ ছিল। বিদেশে (কুয়েতে) থাকা অবস্থায় অবৈধ ভিওআইপি ব্যবসায় জড়িত থাকা, মাদকাসক্ত হওয়ায় জেল খাটা, ইয়াবাসহ আটক হওয়া এসব বিষয় পুলিশ তলিয়ে দেখছে।
বুধবার সংবাদপত্র হকার্স সমিতির সভাপতি মোকলেসুর রহমান সুমন, ওই সংগঠনের সম্পাদক মো: মনির সংবাদ সম্মেলনে জানান, স্থানীয় অনিয়মিত একটি পত্রিকা সম্পাদনার আড়ালে অবৈধ ব্যবসা করা হতো ওই অফিসে। বাড়ির মধ্যেই তার অফিস। রাত হলে সেখানে আসর বসে। অপরাধ জগতের লোকজন ওই আসরে যোগ দেয়। আহত মাকসুদ জানান, তার প্রস্তাবিত অবৈধ কাজ করতে রাজি না হওয়ায়, তাকে লোহার পাইপ দিয়ে পিটিয়ে হত্যার চেষ্টা করা হয়।
এদিকে মঙ্গলবার রাতে রাজিব গ্রেফতার হওয়ার পর সকাল পর্যন্ত তাকে ছাড়িয়ে নিতে আলোচিত মাদক চক্রের কয়েকজন তদবির চালিয়ে ছিল। এরা সংবাদপত্র হকার্সদের ম্যানেজ করার চেষ্টা করে।
এদিকে রাজিবের বাড়ি ও অফিস তলাশীকালে অবৈধ জিনিসপত্র জব্ধ করার সময় পুলিশ তার স্ত্রীর বক্তব্য রেকর্ড করে।
রাজিব জানান, হাকার মাকমসুদ তার পত্রিকা বিক্রির টাকা না দেয়ায়, তাকে গালমন্দ করা হয়ে ছিল, মারধর করা হয়নি।