ক্রীড়া প্রতিবেদক
২২ রানে ৫ উইকেট এর আগেও আছে তার। আজ (শনিবার) ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের বিপক্ষে আবারও সেই কৃতিত্বের পুণরাবৃত্তি ঘটিয়েছেন মোস্তাফিজুর রহমান।
প্রথম ২ ওভারে ১৩ রান দিয়ে উইকেট না পেলেও শেষ ২ ওভারে সাকিব আল হাসান, শামসুর রহমান শুভ, শুভগত হোম, আবু হায়দার রনি ও তাসকিন আহমেদকে ফিরিয়ে ঠিক ২২ রানেই মোহামেডান ইনিংসের অর্ধেকটা নিজের পকেটে পুড়েছেন কাটার মাস্টার। শেষ ৫ ওভারে মোহামেডান ৩৫ রানে হারায় ৭ উইকেট।
১৭.১ ওভারে ১৩৬ রানে তৃতীয় উইকেট পতনের পর শেষ ১৭ বলে মোহামেডান যোগ করতে পারে আর মাত্র ১৪ রান। কোনো দলের ব্যাটিং লাইন আপের শেষ অংশটা এভাবে মুড়ে দেয়ার পর স্বাভাবিকভাবেই ফিল্ডিং সাইডের উজ্জীবিত থাকার কথা।
তবে প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবের ব্যাটিং শুরুর পর দেখা গেল উল্টো দৃশ্য। কোথায় হারিয়ে গেল মোস্তাফিজের অমন বিধ্বংসী বোলিং! সে বোলিং সাফল্য ম্লান হয়ে গেল দলটির অনুজ্জ্বল-শ্রীহীন ব্যাটিংয়ে। তামিম ইকবাল, এনামুল হক বিজয়, রনি তালুকদার, অলক কাপালি, রাকিবুল হাসানরা রীতিমত অসহায় আত্মসমর্পণ করলেন! মিরপুরে মোহামেডানের কাছে প্রাইম ব্যাংক হারল ২৭ রানে।
অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের নেতৃত্বে বল হাতে দূর্বার দেখা গেল মোহামেডানের বোলারদের। সাকিব নিজে তো ভালো করলেনই (৪ ওভারে ১৬ রানে ২ উইকেট), সঙ্গে দারুণ বোলিং করলেন দুই পেসার তাসকিন আহমেদ আর আবু জায়েদ রাহি। দুজনই নিয়েছেন ৩টি করে উইকেট।
তবে দুজনের মধ্যে তাসকিন রান খরচে ছিলেন কৃপণ। ৩.৩ ওভারে ১৫ রানে ৩টি উইকেট নেন ডানহাতি এই পেসার। সমান উইকেট শিকার করেন রাহিও। তবে তিনি ৪ ওভারে খরচ করেন ৩৩ রান।
একজন ব্যাটসম্যানও মাথা তুলে দাঁড়াতে পারেননি। কারও ব্যাটে আস্থা ও আত্মবিশ্বাস ছিল না। কেউ হাত খুলে খেলতেও পারেননি। তামিম (২০ বলে ২০) অধিনায়ক বিজয় (৫ বলে ৩), ওয়ান ডাউন রনি (১৯ বলে ১৯), মোহাম্মদ মিঠুন (১৮ বলে ২৫), অলক কাপালি (০), নাহিদুল (৯ বলে ৫) ও রাকিবুল (৬ বলে ৬) রানে সাজঘরে ফেরেন। শেষ পর্যন্ত ১২৩ রানে সব উইকেটের পতন প্রাইম ব্যাংকের।