মেঘনার জোয়ারে কুকরী-মুকরীসহ ২০ চর প্লাবিত, প্রবল স্রোত, উত্তাল ঢেউ

0
22

নিজস্ব প্রতিবেদক
অমাবশ্যার কারনে সৃষ্ট জোয়ারে মেঘনার পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে চরফ্যাশন, মনপুরা, বোরহান উদ্দিন ও ভোলা সদর উপজেলাসহ ২০ দ্বীপচর প্লাবিত হয়েছে। জোয়ারের পানিতে তলিয়ে গেছে বেড়ি বাঁধের বাইরের বিস্তীর্ন এলাকা।

একই সাথে বেড়েছে মেঘনার পানির প্রেবল স্রোত ও উত্তাল ঢেউ। নদীর পানি ব্যাপকভাবে ঘোলাটে হয়ে গেছে। পানি দেখে মনে হচ্ছে চাঁদপর, মেহেন্দীগঞ্জ, লক্ষ্মীপুর, রামগতি, ভোলা সদর, বোরহান উদ্দিন, চরফ্যাশন, মনপুরা ও ঢালচরের যেসব এলাকা নদী ভাঙ্গণের কবলে পড়েছে সেব এলাকার সকল পলিমাটি বঙ্গোপ সাগরে গিয়ে পতিত হচ্ছে।

মঙ্গলবার (৭ সেপ্টম্বর) বিকেলে মেঘনার পানি বিপদসীমার ৬৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় নিচু এলাকা প্লাবিত হয়। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন হাজার হাজার মানুষ। মেঘনার তীরবর্তী এবং মূল ভূ-খন্ডের বাইরের দ্বীপচরে স্বাভাবিকের চেয়ে ২ ফুট পানি বৃদ্ধি পেয়েছে।

এতে কুকরি-মুকরি, ঢালচর, চর পাতিলা, কলাতলীর চর, কচুয়াখালীর, মনপুরা, চর যতিন, সোনার চর, চর শাহজালাল, গঙ্গাকীর্তি, বলরামসুরা, মদনপুর, মাঝের চর, রাজাপুরসহ অন্তত ২০ টি দ্বীপচর প্লাবিত হয়েছে। তলিয়ে গেছে বসতঘর, রাস্তাঘাট, ফসলি জমিসহ বিস্তীর্ণ এলাকা। পানি বন্দি হয়ে পড়েছেন মানুষ।

এদিকে জোয়ারের পানির চাপে ভোলার ইলিশার দুটি ফেরীঘাট তলিয়ে গেছে।

দুইদিনের জোয়ারের পানিতে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন ধনিয়া এলাকার গঙ্গাকীর্তি, কালীকির্তী ও বলরামসুরা গ্রামের মানুষ। পুরো এলাকা প্লাবিত হয়েছে, ২ শতাধিক ঘরবাড়ি তলিয়ে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন মানুষ।

জোয়ারের পানিতে রাজাপুর ইউনিয়ন বিলিন হয়ে যাচ্ছে। পাশাপাশি নিচুস্থান প্লাবিত হয়ে পানি বন্ধী হয়ে পরেছেন কয়েক হাজার মানুষ। জোয়ারে অনেক বাড়ীর উঠোনে পানি উঠেছে।

জানা গেছে, আমবশ্যার প্রভাবে নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। মেঘনার পানি বিপদ সীমায় উপর প্রবাহিত হওয়ায় নিচু এলাকা প্লাবিত হয়েছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here