নিজস্ব প্রতিবেদক
তজুমদ্দিন ও মনপুরা উপজেলার মাঝামাঝি মেঘনা নদীতে মাছধরা ট্রলারের পাঁচ জেলেকে ডাকাতরা অপহরণ করে মুক্তিপণ নিয়ে ছেড়ে দিয়েছে।
রোববার রাতে নদীতে মাছ ধরার সময় তাদের অপহরণ করা হয়।
সোমবার সকালে বোরহানউদ্দিন উপজেলার মির্জাকালু এলাকায় তাদের ছেড়ে দেয়া হয়।
তজুমদ্দিন উপজেলার চাঁদপুর ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ও সুইচঘাট এলাকার মৎস্য আড়ৎদার মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, রাত ১১টার দিকে জেলেরা তজুমদ্দিন ও মনপুরা উপজেলার মাঝা-মাঝি এলাকায় মেঘনা নদীতে মাছ শিকার করছিলেন।
“এ সময় একটি ট্রলার নিয়ে ১২/১৫ জন সশস্ত্র ডাকাত পৃথকভাবে মনপুরা উপজেলার তিনটি ও তজুমদ্দিনের তিনটি ট্রলারের হামলা চালিয়ে জেলেদের মারধর করে মাছ, জাল, সোলার প্যানেল, ব্যাটারি, মোবাইল ফোনসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম লুট করে নিয়ে যায়।”
এছাড়াও পাঁচটি ট্রলার থেকে মাকসুদ মাঝি (৩৫), শফি উদ্দিন মাঝি (৪২), নকিব মাঝি (৪৫), রুবেল মাঝি (৩৮) ও হারুন মাঝিকে (৪০) চোখ বেঁধে অপহরণ করে নিয়ে যায়।
তিনি আরও জানান, পরে ডাকাত সদস্যরা জেলেদের পরিবারে ফোন করে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে ২০ হাজার করে মোট এক লাখ টাকা মুক্তিপণ নিয়ে সোমবার সকালে তাদের ছেড়ে দেয়।
সিরাজুল ইসলাম আরও বলেন, “সকালে দিকে আমার ট্রলারের মাঝি মো. মাকসুদ আমার কাছে এসে ডাকাতি ও অপহরণের কথা বললে আমি চারদিকে খবর নিয়ে বিষয়টি নিশ্চিত হই। পরে বিষয়টি আমরা তজুমদ্দিন থানায় জানিয়েছি।”
তজুমদ্দিন থানার ওসি এসএম জিয়াউর হক বলেন, “বিষয়টি আমাদের মৌখিকভাবে জানানো হয়েছে। এখনও লিখিত অভিযোগ করেনি তারা। তবে আমরা বিষয়টি তদন্ত করছি।”