লালমোহনের মেঘনায় ইলিশের আকাল

0
1

মাকসুদুর রহমান পারভেজ লালমোহন

ভোলার লালমোহনের মেঘনায় ভরা মৌসুমে দেখা মিলছে না ইলিশের। হতাশা নেমেছে জেলে পল্লীতে। তবুও জেলেরা যাচ্ছেন মাছ শিকারে। চারটি, সাতটি, সর্বোচ্চ দুই হালি করে পাচ্ছে ইলিশ। এতে তেল খরচ এবং ১৫-১৬ জন মাঝি মাল্লার খরচ পোষায় না। দাদন নিয়ে বা দেনা করে নদীতে নামতে হয়েছে তা আর ফিরিয়ে দেয়া যাচ্ছে না মহাজনদের।

জেলেরা জানান, গেল বছরও এদিনে নৌকা ভরে ইলিশ নিয়ে ফিরেছেন। সবার দৈনিক খরচ পোষাতো। আর এ বছর সম্পূর্ণ তার উল্টো।

তারা জানান, গভীর সমুদ্রে ইলিশের দেখা মিললেও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সেখানে যেতে পারে না ক্ষুদ্র জেলেরা। প্রায় বছরই মাছ ধরতে গিয়ে অনেক জেলের সলিল সমাধি হয়েছে গভীর সমুদ্র। ডুবেছে অনেকের ট্রলার।

তারা জানান, মেঘনা নদী এ বছর ইলিশশূন্য। ভরা মৌসুমে মাছ না পাওয়ায় জেলে পাড়ায় চলছে হাহাকার। সব জেলেই কোনো না কোনো ভাবে দেনাগ্রস্ত। মেঘনা নদীতেই তাদের ভরসা। এ মেঘনাতেই জীবিকা নির্বাহ করে তাদের বেঁচে থাকা। শত দেনা থাকলেও আশা থাকে নদীতে নৌকা ভরে ইলিশ শিকার করবে। সেই ইলিশ বিক্রি করে পরিবার, সন্তান ও বাবা-মাকে নিয়ে সুখে কাটবে ইলিশ মৌসুমটুকু। কিন্তু আষাঢ় শেষ হয়ে যাচ্ছে , এখনো জেলেদের মুখে হাসি নেই। ইলিশ সব গভীর সাগরে চলে গেছে।

লালমোহনের বাতিরখাল মৎস্য আড়তের আড়তদার ছালাউদ্দীন দালাল বলেন, বাতিরখাল ঘাটে ৩শ’ নৌকা আছে। ব্যবসার অবস্থা ভালো না। এ বছরের মতো এতো কম মাছ আর কখনো পড়েনি। জলবায়ু পরিবর্তন ও ভারতের পানি এসে পলি জমে মেঘনায় অনেক চর হয়ে গেছে। নদীতে এখন গভীরতাও নেই। মেঘনায় ইলিশ না থাকলেও গভীর সাগরে ইলিশ ধরা পড়ছে প্রচুর। সেখানে বড় বড় ফিসিং বোট নিয়ে চট্টগ্রাম, মহিপুর, কুয়াকাটার জেলেরা মাছ ধরেছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here