ক্রীড়া প্রতিবেদক
আম্পায়ারের সঙ্গে আশোভন আচরণ করে আবারও আলোচনায় সাকিব আল হাসান। সাকিবের এমন কাণ্ড যখন ক্রিকেটাঙ্গনে ঝড় তুলছে, তখন সাকিব পত্নী বিষয়টি উপভোগ করছেন বলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তুলে ধরেছেন! শুধু তাই নয়, শিশির মনে করেন সাকিবকে সব সময়ের মতো ভিলেন বানানোর চেষ্টা চলছে।
সামাজিক মাধ্যমে সাকিবের স্ত্রী সাকিব উম্মে আল হাসান লিখেছেন, ‘এই ঘটনা মিডিয়ার মতো করেই আমি উপভোগ করছি। অবশেষে টেলিভিশনে কিছু খবরও দেখা যাচ্ছে। কিছু মানুষের সমর্থন দেখে খুবই ভালো লাগছে যে, তারা আজকের ঘটনার পরিষ্কার চিত্র দেখতে পাচ্ছেন। তারা বুঝতে পারছেন অন্তত একজনের সাহস আছে সকল প্রতিকূলতার বিপক্ষে দাঁড়ানোর।’
শিশির মনে করেন সাকিবকে ভিলেন বানানোর চেষ্টা করছে মিডিয়া, ‘এটা দেখা দুর্ভাগ্যের যে আসল ঘটনা মিডিয়া চাপা দিচ্ছে। কেবল তার ক্ষোভ প্রকাশ করার বিষয়টি মিডিয়াতে তুলে ধরা হচ্ছে। মূল বিষয় হচ্ছে আম্পায়ারের চোখ ধাঁধানো সিদ্ধান্তগুলো।
তিনি বলেন, শিরোনামগুলো সত্যিই দুঃখজনক। চলমান এই ঘটনাটা আমার কাছে একটি চক্রান্ত, সব সময়ের মতো আজও তাকে ভিলেন বানানোর চেষ্টা করা হয়। আপনি যদি ক্রিকেটভক্ত হয়ে থাকেন তবে নিজের পদক্ষেপ সম্পর্কে অবগত থাকুন।
সাকিবের ঘটনা শিশিরের কাছে চক্রান্ত
সাকিব পত্নী একে পক্ষপাতদুষ্ট আম্পায়ারিংয়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ হিসেবে দেখলেও সাকিব এমন ঘটনায় দু:খ প্রকাশ করেছেন।
নিজের ফেসবুক পেজের মাধ্যমে দুঃখ প্রকাশ করার পাশাপাশি ক্ষমাও চেয়েছেন, ‘প্রিয় ভক্ত ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা, যারাই আজকের ম্যাচে আমার আচরণ দেখে কষ্ট পেয়েছেন বিশেষ করে ঘরে বসে যারা খেলা দেখেছেন, তাদের কাছে আমি দুঃখ প্রকাশ করছি এবং ক্ষমা প্রার্থনা করছি। আমার মতো অভিজ্ঞ একজন ক্রিকেটারের কাছ থেকে এমনটা মোটেও কাম্য নয়, কিন্তু মাঝে মাঝে প্রতিকূল পরিবেশে এমনটা হতেই পারে।
সাকিব বলেন, এমন ভুলের জন্য সকল দল, কর্তৃপক্ষ, টুর্নামেন্ট সংশ্লিষ্ট সকল কর্মকর্তা ও অর্গানাইজিং কমিটির কাছে ক্ষমা চাচ্ছি। আশা করি, ভবিষ্যতে এমন কোন কাজে আমি আর জড়াবো না। সকলের জন্য ভালোবাসা’।
আবাহনী ইনিংসের পঞ্চম ওভারের শেষ বলে মুশফিককে আউট না দেওয়ায় সাকিব স্টাম্প লাথি মেরে মাটিতে ফেলে দেন। পরের ওভারে আম্পায়ার বৃষ্টির কারণে মাঠ কাভার দিয়ে ঢাকার নির্দেশ দিলে আরও ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন তিনি। এবার তিনটি স্টাম্প উপড়ে আছাড় মারেন।
এমন ঘটনার পর মাঠের বাইরেও সেটি নিয়ে বেশ কিছু সময় উত্তেজনা বিরাজ করেছে। জমজমাট ম্যাচটিতে প্রথমে স্ট্যাম্পে লাথি মারেন সাকিব, পরে এক পর্যায়ে তিন স্ট্যাম্পই মাটিতে আছাড় মারেন আর সবশেষ আবাহনী ডাগআউটের সামনে দেখা যায় উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়।