নিজস্ব প্রতিবেদক
পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন গণমাধ্যমকে বলছেন, সরকার জাপানের সঙ্গে সম্পর্ককে ‘কৌশলগত অংশীদারিত্বে’ উন্নীত করতে চায়।
জাপান ও বাংলাদেশের সম্পর্কে এতদিন বাণিজ্য ও বিনিয়োগ প্রাধান্য পেলেও এবার যুক্ত হচ্ছে প্রতিরক্ষা খাত। চলতি নভেম্বর মাসের শেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জাপান সফরে বাণিজ্য ও বিনিয়োগের পাশাপাশি প্রতিরক্ষা সহযোগিতার বিষয়ও গুরুত্ব পাবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
২৯ নভেম্বর থেকে ১ ডিসেম্বর জাপান সফর করবেন শেখ হাসিনা। সফরের প্রস্তুতি আর আলোচনার নানা দিক নিয়ে এখন কাজ করছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট সব দপ্তর।
মাসুদ বিন মোমেন বলেন, জাপানের সঙ্গে বাংলাদেশের দীর্ঘদিনের যে সম্পর্ক, তাকে বলা যায় ‘কম্প্রিহেনসিভ রিলেশনশিপ বা কম্প্রিহেনসিভ পার্টনারশিপ’। তিনি বলেন, “এটাকে আমরা স্ট্র্যাটেজিক পার্টনারশিপে উন্নীত করতে চাই। সেটা করতে হলে প্রতিরক্ষা সহযোগিতা হবে তার একটি গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ। আরও অনেক বিষয় আছে।”
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সর্বশেষ ২০১৯ সালের মে মাসে জাপান সফরে গিয়েছিলেন। সে সময় জাপানের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন শিনজো আবে।
বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় দ্বিপক্ষীয় উন্নয়ন অংশীদার জাপান। ১৯৭২ সাল থেকে চলতি বছরের মে পর্যন্ত হিসাব অনুযায়ী জাপানের প্রতিশ্রুত উন্নয়ন সহযোগিতার পরিমাণ ছিল দুই হাজার ৭৪৩ কোটি ডলার।