৪০ বছর পর তুরস্ককে হারাল ওয়েলস
ক্রীড়া প্রতিবেদক
ম্যাচটা যেন একাই খেললেন গ্যারেথ বেল। প্রথমে অ্যাসিস্ট করে দলকে এগিয়ে দেয়া, পরে পেনাল্টি মিস করে হতাশায় নিমজ্জিত হওয়া আর শেষে গিয়ে দ্বিতীয় অ্যাসিস্টে ব্যবধান বাড়িয়ে দেয়া- বেলের এমন পারফরম্যান্সের দিন তুরস্কের বিপক্ষে ৪০ বছর পর জয় পেল ওয়েলস।
ইউরো কাপের ‘এ’ গ্রুপের ম্যাচে তুরস্কের মাঠে খেলতে গিয়েছিল ওয়েলস। কোনো মেজর টুর্নামেন্টে (ইউরো বা বিশ্বকাপ) এবারই প্রথম মুখোমুখি হলো এ দুই দল। যেখানে লড়াই হয়েছে সমানে সমান কিন্তু কাজের কাজ গোলটা করেছে শুধু ওয়েলস। যার ফলে ম্যাচ শেষে বিজয়ীর হাসিটাও তাদেরই মুখে।
দলের সবচেয়ে বড় তারকা বেলের পেনাল্টি মিসের পর তারই জোড়া অ্যাসিস্টের সুবাদে ২-০ গোলে জিতেছে ওয়েলস। প্রথম গোলটি করেছেন অ্যারন রামজি আর শেষেরটি এসেছে কনর রবার্টসের পা থেকে।
সবশেষ ১৯৮১ সালে তুরস্কের বিপক্ষে জিতেছিল ওয়েলস। এরপর মুখোমুখি দুই ম্যাচের প্রথমটি হয় গোল শূন্য ড্র আর পরেরটিতে তুরস্ক জেতে ৬-৪ ব্যবধানে। এবার ইউরো কাপের মঞ্চে এসে ৪০ বছরের অপেক্ষা দূর করল ওয়েলস।
ম্যাচটিতে সমানে সমান লড়েছে তুরস্ক। নির্ধারিত ৯০ মিনিটের মধ্যে ৬৪ শতাংশ সময় বলের দখল নিজেদের কাছেই রেখেছে স্বাগতিকরা। একের পর এক আক্রমণে ভয় ঢুকিয়েছে ওয়েলস রক্ষণভাগেও। কিন্তু কাজের কাজ গোল একটিও করতে পারেনি তারা।
আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে জমে ওঠা ম্যাচে প্রথম গোলটি হয় ৪২ মিনিটে। বেলের বুদ্ধিদীপ্ত পাস বুক দিয়ে নামিয়ে দ্বিতীয় ছোঁয়ায় জালে জড়ান রামজি। এই গোলের সিংহভাগ কৃতিত্ব দিতে হবে বেলকেই। কেননা তার নৈপুণ্যেই হতবাক হয়ে পড়ে তুরস্কের রক্ষণভাগ।
এক গোলের লিড নিয়ে বিরতিতে যায় ওয়েলস।
ম্যাচের একদম শেষদিকে দ্বিতীয় গোলটি করে ওয়েলস। নির্ধারিত ৯০ মিনিট শেষে অতিরিক্ত যোগ করা সময়ের পঞ্চম মিনিটে কর্নার থেকে বল পেয়ে বাম পাশ থেকে ডি-বক্সে ঢুকে পড়েন বেল। তার ছোট করে বাড়ানো বলে পা ছুঁইয়ে স্কোরলাইন ২-০ করেন কনর রবার্টস।